fbpx

‘এই ধর্ম ব্যবসায়ীরাও ছাড় পাবে না’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বর্তমানে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। কিন্তু সরকারি কোন নির্দেশনাই মানছে না কওমি মাদ্রাসাগুলো। তারা সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে চালু রেখেছে তাদের মাদ্রাসাগুলো। এছাড়া আয়োজন করে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষাও।

এমন পরিস্থিতিতে হেফাজত নেতাদের এ কার্যক্রমকে নিন্দা জানানোর পাশপাশি হুশিয়ার দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার একটি স্ট্যাটাস দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না আসলে, মামুনুল হকদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে তা আমাদের জানা আছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

’খেলাফত মজলিস নামক একটি দলের এক নেতা এই কুলাঙ্গার মামুনুল হকের পক্ষে যেভাবে সাফাই গাইল, এতে বোঝা যায় দ্বীনে ইসলাম শুধুই এদের বেঁচে থাকার জন্য একটি মাধ্যম। ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মনে রাখা প্রয়োজন, স্বাধীনতাযুদ্ধে এই দেশের জনগণ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এদের ছাড়াই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে, আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। কিছু এতিম শিশুকে রাখে বলে এরা অনেকের সহানুভূতি পায়। এরা দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না আসলে, এদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে তা আমাদের জানা আছে। জাতির পিতার ভাস্কর্য অপমানিত করার পর থেকে, এদের স্পর্ধার শুরু। এখন ১৭টি লাশের ওপরে চলছে এদের ‘রিফ্রেশমেন্ট’ জীবন।

আগুন যারা জ্বালিয়েছে, পিতার ছবিতে হাত যারা দিয়েছে, এদের একটা একটা করে ধরে আনা হবে, আইনের সম্মুখীন করা হবে। সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক- সর্ব পর্যায়ে এই কাঠমোল্লা গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসে নাই। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতি করতে চায় করবে। কিন্তু ধর্ম ব্যবসা করে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালানোর পরিণাম এদের বোঝাতে হবে। আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত ছাড় পায় নাই। এই ধর্ম ব্যবসায়ীরাও ছাড় পাবে না। ইনশাল্লাহ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply