fbpx

একদিন আগে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা এবং সে দেশের সাথে মিল রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও একদিন আগে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে।

বুধবার আফ্রিকার দেশ নাইজার ও সোমালিয়ায় প্রথম চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে ঈদ উদযাপন করে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে নয়টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসায়। সাদ্রা এলাকার ৪০ টি গ্রামের বাসিন্দারা ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ উদযাপন করে আসছে।

ইউপি মেম্বার সফিকুর রহমান জানান, বুধবার সাদ্রা ও পার্শ্ববর্তী সমেশপুর গ্রামের অল্পসংখ্যক মানুষ ঈদ উদযাপন করেছেন। বাকি সবাই ঈদ উদযাপন করছেন আজ।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে আজ ঈদ করি। কারণ, হজ ফলো না করলে আমরা কোরবানি করতে পারি না। তারপরও আরব বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা বিশ্বাসযোগ্য হলে আমরা রোজা পালন এবং ঈদ উদযাপন করি। যদি সেটি আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য মনে হয়।’

সাদ্রা ছাড়াও হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৬টি গ্রামে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। মতলবের দশানী, মোহনপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানেই ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।

চাঁদপুরের আরও যেসব এলাকায় একদিন আগে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে:
হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply