fbpx

এক নজরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম ভাষণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথের পর ক্যাপিটল হিলে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘যারা আমাদের প্রচারণাকে সমর্থন করেছেন তাদের সকলের জন্য আমি বলতে চাই, আপনারা আমাদের ওপর যে বিশ্বাস রেখেছিলেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের সমর্থন করেননি তাদের সকলকে আমি বলতে চাই, আজ থেকে আমরা যে যাত্রা শুরু করছি, আমার কথা শুনুন, আমি ও আমার হৃদয়ের শুভেচ্ছা নিন। আপনার যদি এখনও দ্বিমত থাকে, তবে তাই হোক। এটাই গণতন্ত্র। এটাই আমেরিকা। আমাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে মতবিরোধ করার অধিকারই সম্ভবত এই জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি। তবুও স্পষ্টভাবে আমার কথাটি শুনুন। মতবিরোধকে অবশ্যই বিভাজনের দিকে পরিচালিত করবেন না। এবং আমি আপনাকে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি সব আমেরিকানদের প্রেসিডেন্ট হবো। সব আমেরিকান। এবং আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যারা আমাকে সমর্থন করেননি তাদের পক্ষেও আমি কঠোরভাবে লড়বো।’

অভিষেক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান খারাপ দশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক কিছু মেরামত করতে হবে। অনেক কিছু পুনরুদ্ধার, অনেক কিছু নিরাময় করতে হবে। অনেক কিছু গড়তে হবে, অনেক কিছু অর্জন করতে হবে।’

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা এই সপ্তাহে চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে জো বাইডেন বলেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসের খুব কম মানুষই এখনকার সময়ের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং বা কঠিন সময় পার করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যত মানুষ জীবন হারিয়েছেন করোনার কারণে এক বছরে তত মানুষ মারা গেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের দু:সময়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি লাখ লাখ মানুষের বেকারত্ব ও ‘জাতিগত ন্যায্যতার জন্য প্রায় ৪০০ বছরের দীর্ঘ লড়াই এখনও চলছে’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ কাঁটিয়ে উঠতে, আত্মাকে পুনরুদ্ধার করতে এবং আমেরিকার ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে এখন শব্দের চেয়ে অনেক বেশি কিছু প্রয়োজন। আর তা হলো ঐক্য।’

তিনি বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া শান্তি নেই, কেবল তিক্ততা এবং ক্রোধ আছে। কোনো অগ্রগতি নেই, কেবল আছে ক্লান্তিকর ক্ষোভ। ঐক্য ছাড়া কোনো জাতি হতে পারে না, কেবল বিশৃঙ্খল একটি রাষ্ট্র হবে। এখন আমাদের সংকট ও চ্যালেঞ্জের ঐতিহাসিক মুহূর্তে ঐক্যই এগিয়ে যাওয়ার পথ। একে অন্যের কথা শুনুন, একে অন্যের দেখাশোনা করুন, একে অন্যকে শ্রদ্ধা করুন।’

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আজ, আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শপথ নিয়েছেন। আমাকে বলবেন না যে পরিবর্তন সম্ভব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দিনটি গণতন্ত্রের। এই দিনটি আমেরিকার। এই দিনটি ইতিহাস ও আশার দিন। বিভিন্ন সময়ে আমেরিকাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, দেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আজকে আমরা গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপন করছি।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply