দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পানি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় নি। ফলে ভোগান্তির চরম সীমায় আছেন হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং তাঁদের স্বজনরা।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালের দিকে হাসপাতালের কিছু অংশে পানি আসলেও পরীক্ষাগার এবং অস্ত্রোপচার কক্ষে পানির কোনো হদিস নেই।
গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আরেফিন জানান, গভীর নলকূপের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে হাসপাতালে পানি আসছে না। সাময়িকভাবে পাশের কিডনি ইনস্টিটিউট থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।
গত ২৮ অক্টোবর ভোর থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পানির সংকট শুরু হয়। তখনই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারদের বিষয়টি জানান রোগীর স্বজনরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর কর্মচারীদের হাসপাতালের পাম্পে পাঠায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পাম্পে পানির বদলে বালু উঠছে। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গণপূর্তের প্রকৌশলীদের জানান।
গভীর নলকূপে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাম্প দিয়ে পানির বদলে বালু উঠছে বলে জানান প্রকৌশলীরা।
গতকাল গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আরেফিন জানিয়েছিলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন করে গভীর নলকূপ খনন শুরু হয়েছে। এ কাজ শেষ করতে আরও পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।