এখন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। অর্থাৎ সব ভর্তি লটারির মাধ্যমে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। সরকারি ও বেসরকারি সব বিদ্যালয়ের জন্যই এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
এদিন ঢাকাসহ সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয়।
লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতা আনা, ভর্তির নামে কোচিং–বাণিজ্য, অনাকাঙ্ক্ষিত তদবির এবং বিভিন্ন রকমের অনৈতিকতা বন্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার মতো অনৈতিক কাজের অভিযোগ পেলে এবং তা সত্য হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি করে শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো ব্যবসার জায়গা নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো অনৈতিকতা যায় না। এটি যেন সবাই মনে রাখে।’
এদিন ৪০৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল ব্যবস্থায় এই লটারির কাজটি করে দিচ্ছে সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক।
লটারির অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৪০৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮০ হাজার ১৭টি শূন্য আসনের ভর্তি করা হচ্ছে। এসব আসনের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৩টি। (http://gsa.teletalk.com.bd) ওয়েবসাইট থেকে লটারির ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনেও খুদে বার্তা পাঠিয়ে ফল পাওয়া যাবে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে সারা দেশে আসন প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬টি। এই লটারিতে অংশ নিচ্ছে ২ হাজার ৯০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সেসব লটারি অনুষ্ঠানেও শিক্ষা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।