fbpx

এবারের ঈদযাত্রায় ৪০২ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৪৩

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পরিবার পরিজনের সাথে খুশি ভাগাভাগি করতেই ঈদযাত্রায় শামিল হয় মানুষ। কিন্তু এই যাতায়াতের মাঝেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঝরে যায় বহু প্রাণ। এবারের ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৭২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪১৬ জন নিহত এবং ৮৪৪ জন আহত হয়েছেন। আর সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৪৪৩ জন নিহত এবং ৮৬৮ জন আহত হয়েছেন।

ঈদযাত্রা শুরু হয় গত ২৬ এপ্রিল, আর ফিরতি যাত্রা শেষ হয় ১০ মে। এই ১৫ দিনে সড়ক, রেল ও নৌপথে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আজ ১২ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যান সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মুক্তির কারণে এবারের ঈদে কোনো বাধা না থাকায় বেশি মানুষের যাতায়াত হয়। এবার ঈদযাত্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল, ৪০ লাখ ইজিবাইক বহরে থাকার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার উল্লেখযোগ্য তৎপরতার কারনে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে।

বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর কারনে গণপরিবহন বন্ধ-চালুর ফাঁকে প্রায় ১০ লাখ মোটরসাইকেল ও ২০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নামে।

২০২১ সালের ঈদুল ফিতরে যাতায়াতের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, নিহত ২২ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং আহত ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। উল্লিখিত সময়ে রেলপথে ২৭টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ৩০৪ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৩টি দুর্ঘটনায় ২জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। ঈদে ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন নিহত এবং ১১০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং আহতের ১৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।

দেশের জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন রোগী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হলেও ঈদের সময়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মোটরসাইকেল এবং ২৫ শতাংশ ইজিবাইক দুর্ঘটনার শিকার।

এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২ শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। দেশের বিভাগীয় হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ১০০ সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। পাশাপাশি জেলা সদর হাসপাতালেও আক্রান্ত রোগীর যেধরনের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে তার সম্পূর্ণ তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে না বলেও জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

Advertisement
Share.

Leave A Reply