fbpx

এলএসডি মাদক সেবন করে আত্মহত্যা করেছে ঢাবি ছাত্র হাফিজুর : পুলিশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে প্রথমবারের মতো জব্দ করা হয়েছে লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড (এলএসডি) নামক মাদক। এই মাদক সেবনের ফলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমান আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, ‘গত বুধবার অভিযান চালিয়ে ঢাকার লালমাটিয়া ও ধানমণ্ডি থেকে সাদমান সাকিব রুপল (২৫), আসহাব ওয়াদুদ তূর্য (২২) ও আদিব আশরাফ (২৩) নামে হাফিজুরের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি পাওয়া যায়।‘

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা জানায়, ‘হাফিজুর ঈদের পরদিন ঢাকায় ফেরার পর সন্ধ্যায় ব্ন্ধুরা মিলে এলএসডি মাদক সেবন করেন। মাদক সেবনের পর হাফিজুর উদভ্রান্তের মতো আচরণ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেলের সামনে এক ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন। হাফিজুরের অবস্থা দেখে ভয়ে পালিয়ে যায় বন্ধুরা।’

ডিবি জানায়, এলএসডি মাদক এক ধরনের বিভ্রম তৈরি করে। এটা জিভের নিচে যেমন রাখা হয়, আবার ইনজেকশানের মাধ্যমেও নেওয়া হতে পারে। যে এলএসডি ব্লট উদ্ধার করেছে, তা ছোট একটি ডাকটিকিটের মতো, যা জিহ্বার নিচে রেখে সেবনের মতো। সুইডেন থেকে এলএসডি মাদক আমদানি করা হয়। অনলাইনভিত্তিক অর্থ লেনদেন (পেমেন্ট) ব্যবস্থা পেপ্যালের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়। গ্রেফতার হওয়া তিনজনের কাছ থেকে ২০০টি এলএসডি জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি তিন হাজার টাকা মূল্যে তাঁরা বিক্রি করতো বলে জানায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

ডিবি কর্মকর্তারা জানায়, প্রতি ব্লট ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করতো তারা। মাদক বিক্রির জন্য তাদের দুটি ফেইসবুক গ্রুপ রয়েছে। একটির নাম ‘আপনার আব্বা’। আরেকটি নাম ‘বেটার ব্রাউনি এন্ড বেয়ন্ড’।

উল্লেখ্য, ঈদের পর দিন ১৫ মে জরুরি কাজের কথা বলে ঢাকার রওনা হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের ইমাম মুজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আট দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবার।

প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলা হলেও হাফিজুরের পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে হাফিজুরের তিন বন্ধুর গ্রেফতারসহ এলএসডি নামক মাদকেরও সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তে নেমে হাফিজের মৃত্যুর সাথে এলএসডির যোগসূত্র পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এবং এই মাদক দেশে প্রথমবারের মতো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি পুলিশ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply