fbpx

এসএসএফ সদস্যদের দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া প্রত্যেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যদের নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় মুজিববর্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান সম্পাদিত ‘মুজিব-বাঙালি-বাংলাদেশ’ নামে একটি ই-বুক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসএসএফ-এর সদস্যদের দক্ষতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী নয়, বিদেশি অতিথিরা আসলেও তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, এটি একটি কঠিন দায়িত্ব। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই, যখনই যেই অতিথি এসেছেন, আমাদের এসএসএফ সদস্যরা এতো চমৎকারভাবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন তাদের (বিদেশি অতিথি) প্রত্যেকেই প্রশংসা করেছেন। সকলেই এসএসএফ সদস্যদের দক্ষতা এবং আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন’।

প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির আধুনিকায়ন এবং অপরাধের ধরন পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সময় চেষ্টা ছিল, আধুনিক জগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এই বিশেষ বাহিনীও সেভাবে প্রশিক্ষিত হবে এবং তাদের দক্ষতাও সবসময় বৃদ্ধি পাবে’।

বিশেষ এই বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিয়মিতই দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সুযোগ থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে এসএসএফের ভুমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের পক্ষ থেকে ১০০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য দুই কোটি টাকার একটি ব্যাংক ড্রাফট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।

১৯৮৬ সালে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকার ঘোষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রপতি নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীকালে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে প্রেষণে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গঠিত।

Advertisement
Share.

Leave A Reply