fbpx

এসির মধ্যে থাকলে করোনা হয়, গরিবের হয় না: দাবি বস্তিবাসীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গেল দেড় বছর ধরেই করোনার ভয়ে জুবুথুবু হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। অদৃশ্য এই শত্রু দমনে কঠোর বিধিনিষেধে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে সব শ্রেণীপেশার মানুষকে এ বিষয়ে সতেচন করা গেছে কি? বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষরা, যাদের প্রতিদিনই খাবারের খোঁজে ঘর থেকে বের না হয়ে উপায় নেই। অলিতে-গলিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে তাদের। কাজের আশায় হন্যে হয়ে ঘুরছেন, কেউবা সকাল হতেই রাস্তা বা বাজারের পাশে ধর্ণা দিচ্ছেন দিনমজুর খাটার জন্য।

বাসায় কাজ করেন মরিয়ম( ছদ্ম নাম)। লকডাউনে এখন কাজ বন্ধ। শিশু সন্তান নিয়ে পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। তিনি বলেন ‘ বাসায় কাজ-কাম করলে দুইডা খাইতারমু, না করলে খাওয়া শেষ। আর এই যে বাচ্চাডা, কাম না করলে ওর মুখে কি দিমু?’

রাজধানীর কড়াইল বস্তি। লাখো মানুষের বাস। নেই স্বাস্থ্য বিধির বালাই। ক্ষুধা মেটানোই যেখানে কষ্টের, সেখানে করোনার সচেতনা মেনে চলা তাদের কাছে অসম্ভব। বেশির ভাগই মনে করেন বস্তিতে করোনা হয় না। বয়স্ক এক নারী জানান,’  করোনা হয় বড়লোকের, যারা এসির মধ্যে থাকে তাদের। আমাগো মত গরিবের করোনা হয় না।’

আবার অনেকে বলেন, যারা দুর্নীতি করে তাদের করোনা হয়।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) তথ্য জানিয়েছে রাজধানী ঢাকায় ৭১ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। বস্তিবাসীদের মধ্যে এই হার খানিকটা বেশি।  তবে বস্তিতে জ্বর, সর্দির মত করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও খুব কম মানুষই পরীক্ষা করেন।  করোনা পরীক্ষা তাদের কাছে একেবারেই অবান্তর। কারণ, এর জন্যও তো চাই কিছু টাকা।

ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে গোটা বিশ্ব যখন ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার। তখন এখানকার বেশিরভাগ মানুষ জানেনই না ভ্যাকসিন কি? ভ্যাকসিন কিভাবে পাওয়া যাবে?

স্বাস্থ্য বিষেজ্ঞরা বলেন, বড় একটা শ্রেণীকে এমন উদাসীন রেখে, করোনা নিয়ন্ত্রণ একেবারই সম্ভব নয়। আর হতদরিদ্র এই মানুষরা জানান, শুধু ঘোষণা দিয়ে লকডাউন দিয়ে নয়, তাদের ঘরে রাখার জন্য অর্থনৈতিক নিশ্চয়তাটাও দিতে হবে। করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থাও।

Advertisement
Share.

Leave A Reply