শরিয়াভিত্তিতে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ তার ৪ ভাইয়ের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে শুনানি শেষে পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর সকালে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
পিরোজপুরের এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি না কিনে মুফতি রাগীব আহসান এবং তার আত্মীয়স্বজনের নামে জমি কেনা হয়েছে। ওই সব জমির ৯০ শতাংশ গোপনে বিক্রি করে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেন। পাশাপাশি এহসান গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৬টিই উধাও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গত রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। তারা অভিযোগ করেন,রাগীব আহসান মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন। ওই প্রতিষ্ঠানে তিনশ কর্মচারী কাজ করলেও তাদের বেতন দেয়া হতো না। কারণ তারা গ্রাহক জোগাড় করে এনে দিতেন। গত বৃহস্পতিবার র্যাব অভিযান চালিয়ে রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকায় হতে রাগীব আহসান ও তার সহযোগী আবুল বাশার খানকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভাউচার বই, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। এরপরে পিরোজপুরে গ্রেপ্তার হয় তার আরও দুই ভাই।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাগীব আহসান প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন বলে জানায় র্যাব। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সাল থেকে আর গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ১৫টির বেশি মামলা হয়েছে। আর প্রতারণার কারণে রাগীব আহসান ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন।