কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, আমদানি সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণ দেখিয়ে গত বছর অত্যাবশ্যকীয় ওষুধসহ বেশ কয়েক জেনেরিকের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়। ওষুধভেদে ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়। ওষুধসহ বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে তীব্র হারে অসন্তোষ ও দুর্ভোগ বেড়েছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে। বিষয়টি উল্লেখ করে গতকাল একটি সভা করেছে অধিদপ্তর। সেই বৈঠকে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই), ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), পুলিশের বিশেষ শাখাসহ (এসবি) সরকার এবং ওষুধ শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ওষুধের দামের বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি জানান, দামের বিষয়ে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ১১৭টি ওষুধের দাম অধিদপ্তর থেকে নির্ধারণ করা হয়। বাকি দামও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। তবে দামের ওপর নতুন করে লিখে, স্টিকার বা ঘষামাজা করা যাবে না। গত বছর যেসব ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওষুধের উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত খরচ আমরা বিশ্লেষণ করেছি। এক্ষেত্রে উৎপাদন ও যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে আমরা ১০ থেকে ১১ শতাংশ লাভ দিয়ে দাম অনুমোদন করেছি। কোথাও ফার্মেসি যদি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি বিক্রি করে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।