কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে নাজিরারটেক চ্যানেলে ৩টি মাছ ধরার ট্রলারডুবে ১১ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ট্রলারে থাকা ১৮ জনের মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ১৯ আগস্ট (শুক্রবার) এ দূর্ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ড ও ট্রলার মালিক সূত্র বলছে, কক্সবাজার জেলা শহরের উত্তরের নাজিরাটেকের বাঁকখালী-বঙ্গোপসাগরের সংযোগ চ্যানেলে একটি এবং কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টার দূরত্বে গুলিধারার বাইরের গভীর সমুদ্রে ২টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন।
ট্রলারে থাকা জেলে জামাল জানান, আবহাওয়া বৈরী দেখে মাছ ধরা ট্রলারগুলো বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে সাগর উত্তালের কারণে জাকির হোসেনের এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১৮ জন জেলের মধ্যে ৭ জনের খোঁজ পেলেও এখন পর্যন্ত ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এছাড়া, কুতুবদিয়া দ্বীপের নিকটবর্তী গভীর সাগরে এফবি আল্লাহর দান ও এফবি কুলসুমা দুটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই ট্রলারের মোট ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, ট্রলারগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় গভীর সাগরে ওই দুইটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এফবি আল্লাহর দান ট্রলার মালিক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টার দূরত্বের গুলি ধারার বাইরের গভীর সাগরে জেলেরা জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ করে সাগরে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউ শুরু হয়। ঢেউয়ের আঘাতে তার মালিকানাধীন ট্রলারের তলা ফেটে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ২০ জন জেলে ভাসমান বয়া (লাইভ জ্যাকেট) আঁকড়ে ধরে সাগরে ভাসতে থাকে। পরে কাছাকাছি অবস্থানকারী কুতুবদিয়ার আকবর বলী ঘাট এলাকার জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন একটি ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে ভাসমান জেলেদের উদ্ধার করে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাগরে ট্রলার ডুবে ১১ জেলে নিখোঁজ এর বিষয়ে আমরা খবর পেয়েছি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে।