মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ। গতকালের মতো আজও ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে। লকডাউন অমান্য করে চলছে লঞ্চ। এছাড়া, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি। জরুরি প্রয়োজনে কিছু সংখ্যক অফিস খোলা থাকলেও সেগুলোতে কর্মীদের জন্য নেই পরিবহন ব্যবস্থা।
২৪ জুলাই (শনিবার) সকালে দেখা গেছে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ভিড়।
এদিকে গলির ভেতরে ছাড়া প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা চলাচলে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এ কারণে অনেকেই রিকশা নিয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। আর ভেঙে ভেঙে যেতে হলে খরচও হচ্ছে দ্বিগুন, যা বহন করার ক্ষমতা অনেকেরই নেই।
ফারজানা আক্তার একটি সুপার শপে চাকরি করেন। লকডাউনে অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীর পন্যের তালিকায় খোলা রাখা রয়েছে সুপার শপগুলো। সকালে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন মিরপুর ১০ -এর মোড়ে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও রিকশা মিলাতে পারেননি, কিভাবে অফিসে যাবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি।
ফারজানা বলেন, ‘সব কর্মীদের গাড়ি দেয়নি অফিস। তাহলে আমরা কিভাবে যাবো? আমরা তো গরিব, যে টাকা বেতন পাই তা যদি গাড়ি ভাড়া দিয়ে শেষ হয়ে যায় তাহলে খাবো কি, আর ঘর ভাড়া দিব কি বলেন?’
এমন অভিযোগ করলেন কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করা রাসেলও। তিনিও দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু কিভাবে বিমানবন্দরে তার অফিসে যাবেন বুঝতে পারছেন না। অফিস খোলা থাকলেও তাদের জন্য নেই কোনও পরিবহন ব্যবস্থা। এমন অবস্থায় দূর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য অফিসগামী মানুষ।
এদিকে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে আছে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বলা হয়েছে, এবারের বিধিনিষেধ আগের চেয়েও কঠোর হবে।
গতকাল ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যক্রম। চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবারে বিধিনিষেধের প্রথম দিন ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে ৪০৩ জন। ডিএমপি জানায়, লকডাউন অমান্য করে অহেতুক ঘোরাফেরা করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০৩ জনকে এক লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।