fbpx

কথা রাখেনি ফরাসি প্রতিষ্ঠান, দুই কোটি স্মার্টকার্ড এখনো পায়নি ইসি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০১৫ সালে ৯ কোটি (৯০ মিলিয়ন) নাগরিকের ভোটার স্মার্টকার্ড সরবরাহে স্মার্টকার্ড উৎপাদনকারী ফরাসি প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজির সাথে চুক্তি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মোট ৭৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকার ওই চুক্তিতে ইসির শর্ত অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে সবগুলো স্মার্টকার্ড তৈরি করার কথা থাকলেও ৩ বছরেও প্রায় দুই কোটি স্মার্টকার্ড দিতে পারেনি স্মার্টকার্ড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে অবার্থার ইসির সাথে কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চুক্তির মেয়াদ করেছিল ২০১৭ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এ পর্যন্ত মোট কার্ড দিয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখের মতো। এখনো ১ কোটি ৭০ লাখের মতো ফাঁকা স্মার্টকার্ড দেয়নি স্মার্টকার্ড উৎপাদনকারী ফরাসি প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজিস।

এ বিষয়ে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, অবার্থারের খামখেয়ালির কারণেই স্মার্টকার্ড উৎপাদন, বিতরণে এত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায় ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা ১০ বছর মেয়াদে ঋণ দেয়। আর তাদের শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কাউকে দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে কয়েক বছর সময় লেগে যায় ইসির।

অবার্থারের সাথে চুক্তি হবার পর থেকেই কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেনি কোম্পানিটি। বরং বারবার নানা অজুহাতে সময় নিয়েছে। ফলে ঝুলে গেছে পুরো প্রক্রিয়াটি। বলে জানান এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

কিন্তু চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করার দায়ে অবার্থারের কাছ থেকে ৩৫০ কোটি টাকার জরিমানাও আদায় করে ইসি। এরপর দূতাবাসের মাধ্যমেও নানা তদবির ও করেছে স্মার্টকার্ড উৎপাদনকারী ফরাসি প্রতিষ্ঠানটি।

সবশেষে অবশিষ্ট কার্ডগুলো দেওয়ার শর্তে ২২০ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য সমঝোতায় যায় ইসি। সেই সমঝোতাঁর পরেও দুই বছর চলে গেছে কিন্তু অবার্থার কথা রাখেনি ।

তবে ইসি বলছে অবার্থারের সাথে সহযোগী দেশীয় প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির সাথে ঝামেলা হয়েছে। টাইগার আইটির কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে ফাঁকা স্মার্টকার্ডে নাগরিকের তথ্য ইনপুট দিয়ে বিতরণ করতো অবার্থার।

কিন্তু এখন পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগে অবার্থারের বিরুদ্ধে মামলাও করে টাইগার আইটি। আর এই মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন কমিশন এখনো অবার্থারের কাছ থেকে দেড় কোটি ফাঁকা স্মার্টকার্ড নিতে পারেনি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইসির এক সমন্বয় সভায় এ নিয়ে আবারো আলোচনা হয়। সভার সভাপতি হিসেবে ইসি সচিব প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চান। এনআইডি অনুবিভাগ থেকে জানানো হয়, প্রকল্পটি চলতি বছর শেষ সমাপ্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে অবার্থারের সঙ্গে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তাগাদা দেওয়া প্রয়োজন।

জানা যায়, বর্তমানে ইসির সার্ভারে সার্ভারে ১১ কোটির মতো ভোটারের তথ্য আছে। ২০২৫ সাল নাগাদ আরো প্রায় চার কোটির মতো ভোটার যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ভোটারদেরও স্মার্টকার্ড দেবে ইসি। সেই হিসেবে এ সময়ের মধ্যে আরো প্রায় ১০ কোটির মতো স্মার্টকার্ড তৈরি ও বিতরণ করতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply