যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছেন ফেসবুকপ্রধান মার্ক জাকারবার্গ। বিপুল সম্পদ হারিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে বাইরে চলে গেছেন। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফোর্বস বলছে, ২০১৫ সালের পর এই প্রথম জাকারবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকার বাইরে চলে গেলেন। সম্প্রতি ফোর্বস যুক্তরাষ্ট্রের ৪০০ শীর্ষ ধনীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
তালিকা অনুযায়ী, জাকারবার্গ এখন যুক্তরাষ্ট্রের ১১তম শীর্ষ ধনী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।
ফোর্বসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জাকারবার্গের বর্তমান সম্পদমূল্য ৫ হাজার ৭৭০ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার সম্পদমূল্য ছিল ৭ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে জাকারবার্গের মতো এভাবে আর কারও সম্পদের পরিমাণ কমেনি।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকেও ছিটকে পড়েছেন জাকারবার্গ। ২০২১ সালে বিশ্বের শীর্ষ ধনী বা শতকোটি ডলারের মালিকদের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে ছিলেন জাকারবার্গ। ২০২২ সালের তালিকায় তিনি ১০ ধাপ পিছিয়েছেন। এ তালিকায় তার অবস্থান ১৫তম। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০০ শীর্ষ ধনীর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। আর ২০২২ সালে এসে তার অবস্থান ১১তম।
ফোর্বস বলছে, ২০০৮ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথমবারের মতো নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন। ফেসবুক প্রতিষ্ঠার মাত্র চার বছরের মাথায় তিনি এ তালিকায় যুক্ত হন।
সম্প্রতি ফোর্বস যুক্তরাষ্ট্রের ৪০০ শীর্ষ ধনীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে শীর্ষে রয়েছেন ইলন মাস্ক। তার সম্পদের পরিমাণ ২৫ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, সারা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছেন ইলন।
২০০৪ সালে জাকারবার্গ ‘ফেসবুক ইনকরপোরেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১২ সালে ইনস্টাগ্রাম ও ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেন তিনি। ২০২১ সালের অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের করপোরেট নাম পরিবর্তন করে ‘মেটা’ করা হয়। তবে নাম পরিবর্তন করলেও মেটার অধীনেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপসগুলো আগের মতো চলবে।
