fbpx

কফি নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলোর সত্যতা কতটুকু?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কফি পানে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। এমনকি থাবা বসাতে পারে মরণব্যাধিও। তবে কফি নিয়ে প্রচলিত ধারণার মধ্যে ৯০ শতাংশই ভুল। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন একটি প্রাকৃতিক পদার্থ, যা বিশ্বব্যাপী ৬৩টিরও বেশি উদ্ভিদ প্রজাতির পাতা, বীজ এবং ফলের মধ্যে পাওয়া যায়।

কফি খেলে সাময়িকভাবে ক্লান্তি কমে যায়। এমনকি শারীরিক উদ্দিপক হিসেবেও কাজ করে। এতে করে কখনও কখনও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই বলে কফি খেলে শরীরে রোগ বাসা বাধবে এমন ধারণার সত্যতা পাওয়া যায়নি কোন। চলুন প্রচলিত ধারণাগুলোর সত্যতা জেনে নেই।

১। আসক্ত করে তুলতে পারে কফি 

সীমিত পরিমাণে কফি পান করলেই আপনার এতে আসক্তি জন্মাতে পারে, গবেষনায় এমন কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু ক্যাফেইন আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, তাই আপনি যদি কফি নিয়মিত পান করেন আপনি এর উপর কিছুটা নির্ভরতা অনুভব করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি দিনের রোজকার পানিয়ের মধ্যে ১-২ কাপ কফি রাখেন, তাহলে এটার উপর আসক্তি হওয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

২। ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় কফি

ক্যাফেইন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় না এটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। নরওয়ে এবং হাওয়াইয়ের বেশ কিছু লোকের উপর বেশ কিছু দিন ধরে চলা দুটি সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নিয়মিত কফি বা চা খাওয়া এবং ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই।

৩। গর্ভধারণে সমস্যা তৈরি করে কফি

অনেক চিকিৎসক গর্ভবতী মহিলাদের সীমিত পরিমাণে কফি পান করতে বলেন। তবে যেসব মহিলারা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন তাদের কফি এড়িয়ে চলা উচিত এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে প্রজননক্ষমতা ও ক্যাফেইনের মধ্যে সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। গর্ভাবস্থার আগে বা গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমাণে কফি পান করা যেতেই পারে যদি না আপনি বিশেষ কিছু শারীরিক জটিলতায় ভোগেন।

৪। হৃদ্‌রোগের কারণ হতে পারে কফি

কফি পান করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, এই প্রচলিত ধারণার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি গবেষণায়। এমনকি কফি অনিয়মিত হৃদস্পন্দনেরও কারণ নয়। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কফি পান করা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply