অবশেষে সরকার মুনাফার হার কমালো সঞ্চয়পত্রের। যে যত বেশি বিনিয়োগ করবে, তার মুনাফার হার হবে তত কম। তবে, একই থাকছে ১৫ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের মুনাফা।
আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিবর্তিত এই হার যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন তাদের জন্য কার্যকর হবে। আর আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন সেটির উপর নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের ক্ষেত্রেই নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। আর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই সঞ্চয়পত্রে যাদের ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে, তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার হবে সাড়ে ৯ শতাংশ।
তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। একই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি, তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে।
অবসরভোগীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে এই হার হবে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পরিবার সঞ্চয়পত্রে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার সাড়ে ১০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে এই হার সাড়ে ৯ শতাংশ।
কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে। যেটির মুনাফার হার আগের মতোই সাড়ে ৭ শতাংশ রয়েছে।
তবে, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে তিন বছর মেয়াদ শেষে এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে তা ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।