প্রথমবারের মতো দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বা ফিউচার্স মার্কেট চালু করতে ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের (এমসিএক্স) সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার একটি হোটেলে এমসিএক্স এর সঙ্গে তাদের এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনের বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা না থাকায়, ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জের (এমসিএক্স) কাছ থেকে এ বিষয়ে জ্ঞান ও কারিগরি সহায়তা নেবে সিএসই।
সিএসই জানিয়েছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজারমূল্যে স্থিতিশীলতা থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা হবে। ভোক্তা, ক্রেতা-বিক্রেতা বা বিনিয়োগকারী-সবার জন্য এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এই এক্সচেঞ্জ বা মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন বাল্ক পণ্য কেনাবেচা হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেই লেনদেনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে এবং ক্রেতাকে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে স্টক এক্সচেঞ্জের মতোই একটি কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম। স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ইত্যাদি কেনাবেচা হয়। আর কমোডিটি মার্কেটে কেনাবেচা হয় জ্বালানি তেল, স্বর্ণ, কৃষিপণ্যসহ নানা ভোগ্য পণ্য। তবে এসব পণ্য সরাসরি ক্রেতা-বিক্রেতার সামনে সরাসরি উপস্থিত রাখা হয় না। এসব পণ্য থাকে গুদামে। এই এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে এসব পণ্যের মালিকানা বদল হয়। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশেও এখন কমোডিটি এক্সচেঞ্জ আছে।
সিইসি বলছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা হলে কৃষক/ উৎপাদক থেকে শেষ ব্যবহারকারী পর্যন্ত পণ্যের মূল্য একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখা, ফসল তোলার পর ক্ষতির ঝুঁকি কমানো, দক্ষ ঋণ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক দর নির্ধারণ ব্যবস্থা তৈরি করা এবং লেনদেন ও বিপণন ব্যয় কমিয়ে আনা সহজ হবে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএসই জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তারা একটি মৌলিক ধারণাপত্র তৈরি করেছে এবং তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চালানোর সম্মতি পেয়েছে। তবে পুরো প্রস্তুতি শেষ করতে দীর্ঘ ও জটিল বেশ কিছু প্রক্রিয়া পার হতে হবে।