করোনাভাইরাসের রুপান্তরিত নতুন ধরণটি ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের আটটি দেশে। এক টুইট বার্তায় এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হানস ক্লুগ।
সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন ধরণটি আগের ছেয়েও দ্রুত ছড়ায়। এবং অপেক্ষাকৃত কম বয়সীরাই বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন।’ একই সাথে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান হানস ক্লুগ। তবে পোস্টে আটটি দেশের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরণটি ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো এক জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শনাক্ত ওই ব্যক্তি সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছিলেন।
দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইতালি। লকডাউন ও কড়াকড়ির পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এক দিনেই শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজারেরও বেশি রোগী।
এদিকে, সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা খানিক কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে শনাক্ত হয়েছে ৯৮ হাজার ৪শ রোগী। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সব মিলে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২ কোটি ছোঁয়ার পথে।
আগের দিনের তুলনায় শুক্রবার সংক্রমণ কমেছে ব্রাজিলেও। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এক দিনেই শনাক্ত হয়েছে ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
যুক্তরাজ্য জুড়েই এখন ভাইরাসের নতুন ধরনের তাণ্ডব চালাচ্ছে। শুক্রবার এখানে শনাক্ত হয়েছে আরও ৩২ হাজার রোগী।
রাশিয়াতে দিন দিনই ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। শুক্রবারও শনাক্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে উদ্বেগ বাড়ছে দক্ষিণ কোরিয়াতেও। প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের রেকর্ড ছাড়াচ্ছে।
তবে পরিস্থিতি দিন দিনই ভালো হয়ে উঠছে ভারতে। কমেছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। দেশটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ১৬ হাজার রোগী। মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি এরই মধ্যে হানা দিয়েছে ৮ কোটিরও বেশি মানুষের শরীরে। প্রাণ কেড়েছে আরও সাড়ে ১৭ লাখেরও বেশি মানুষের। তবে শনাক্তদের মধ্যে ৫ কোটি ৬৪ লাখ মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।