fbpx

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি চেয়ে ঈদের জামাতে বিশেষ মোনাজাত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাস মহামারির মাঝে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিমদের দুয়ারে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। শুক্রবার (১৪ মে) এই অতিমারি থেকে মুক্তি চেয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। আর মুকাব্বিরের দায়িত্বে ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি কাজী মাসুদুর রহমান। এই নামাজে হাজার হাজার  ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করে।

নামাজ আদায় শেষে ইমাম খুতবা পাঠ করেন। পরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে ইমাম আল্লাহর কাছে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। দেশ ও জাতিকে এ মহামারি থেকে বাঁচাতে সাহায্য চান।

ঈদের নামাজ পড়তে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দূর-দূরান্ত থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে জড়ো হন। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই বাইরে নামাজ পড়েন।

মসজিদকে জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রবেশপথেই জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা করা হয়। মাস্ক ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর যাদের মুখে মাস্ক ছিল না, তাদেরকে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নিতে দেখা যায়। তবে সামাজিক দূরত্ব মানতে অনেকের মধ্যে অনীহা দেখা গেছে।

আর যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মসজিদ প্রাঙ্গণে পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যদেরকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত না করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এছাড়া, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না।ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে। একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply