fbpx

করোনায় চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে বিশ্বের ১১ কোটি ২০ লাখ নারী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনায় বিশ্বের নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেননা বিশ্বজুড়ে কর্মজীবী নারীদের বেশিরভাগ অংশ অনিশ্চিত বা নিরাপত্তাহীন পেশায় যুক্ত। এছাড়া তারা পুরুষের তুলনায় বেতনও কম পান। তাই তাদের ক্ষতির পরিমাণও বেশি।

বিভিন্ন খাতে নারী- পুরুষের অবদান সমান হলেও করোনার প্রভাবে ১১ কোটি ২০ লাখ নারী উপার্জন বা চাকরি হারানোর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশ্বে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা খাতে কর্মরত জনশক্তির প্রায় ৭০ শতাংশ নারীরা। তাই করোনা তাদের এই চাকরি হারানোর বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) অক্সফামের প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) উদ্বোধনী দিনে বিশ্বে ‘অসমতা ভাইরাস’ নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের গবেষণা বলছে, করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। কিন্ত এই সময়ে বিশ্বের এক হাজার ধনকুবের মাত্র নয় মাসে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছেন। তবে বিপর্যয় নেমে এসেছে বিশ্বের কয়েকশ কোটি দরিদ্র মানুষের জীবনে। তাদের এই দশা থেকে মুক্তি পেতে দশ বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

সেখানে বলা হয়েছে, করোনার মাঝেই গত মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত এশিয়ায় ৭১১ জন ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যে অর্থ দিয়ে ১৫ কোটি ৭০ লাখ দরিদ্র মানুষের প্রত্যেককে ৯ হাজার ডলারের এক একটি চেক দেওয়া সম্ভব।

আর পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৬১০ জন ধনীর সম্পদ বেড়েছে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৬ কোটি ৪০ লাখ দরিদ্র মানুষের প্রত্যেককে ২০ হাজার ডলারের এক একটি চেক দেওয়া সম্ভব।

প্রতিবেদন দাবি করছে, করোনা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ধনী–গরিবের মধ্যে আর্থিক বৈষম্যকে বাড়িয়ে তুলেছে। প্রায় এক শতাব্দী ধরে দেশে দেশে অর্থনৈতিক অসমতা দেখা দেওয়া শুরু হয়। তবে করোনার কারণে এই প্রথম একই সময়ে প্রায় প্রতিটি দেশে অসমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া এই সময়ে বিশ্বে কর্মসংস্থানের সংকট সবচেয়ে বেশি প্রকট হয়েছে। বর্তমানে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন বা কাজের বাইরে রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক গ্যাব্রিয়েলা বুচার বলেন, ‘করোনা মহামারি শুরুর পর আমরা মানুষের মধ্যে বৈষম্য ব্যাপকভাবে বাড়তে দেখেছি। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে দেখা দেওয়া গভীর বিভক্তি ভাইরাসের মতোই প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাতুর্যের অর্থনীতিতে সম্পদ দরিদ্রদের কাছ থেকে ধনীদের হাতে চলে যাচ্ছে, যারা মহামারিতেও বিলাসী জীবন যাপন করছেন।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply