fbpx

করোনায় চাহিদা ও ব্যবসা বেড়েছে অ্যাম্বুলেন্সের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা মহামারিতে দেশে একদিকে যেমন বেড়েছে অ্যাম্বুলেন্স আমদানি, তেমনি অন্যদিকে রাস্তায়ও বেড়েছে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে সর্বমোট ৭৮৮টি অ্যাম্বুলেন্সের নিবন্ধন করা হয়েছে। যা তার আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। আর বর্তমানে ঢাকা শহরে চার হাজার ৭০২টি এবং সারাদেশে নিবন্ধনকৃত অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে মোট ছয় হাজার ৯৩৮টি।

বাংলাদেশে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিকারক ও ডিলার অ্যাসোসিয়েশন বারভিডার তথ্য অনুযায়ী, দেশে গতবছর করোনা মহামারির মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা তা আমদানিতে বেশি বিনিয়োগ করেছেন।

এদিকে, গত ছয় মাসে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে দেশে ফ্রিজার ভ্যানের সংকট রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াকে উল্লেখ করেছেন। ঢাকা শহরে বেসরকারিভাবে প্রায় ৬১৩টি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, আজকাল হাসপাতালে সহজে যাতায়াতের জন্য রোগী ও তাদের স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। ফলে এর চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি, করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেজন্যও অ্যাম্বুলেন্স সেবা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন সংগঠনের আওতাধীন অ্যাম্বুলেন্সগুলো অন্যান্য জরুরি সেবাও দিয়ে থাকে। জানা গেছে, সরকার পরিচালিত জরুরি সেবা ৯৯৯ -এর অধীনেও এসব অ্যাম্বুলেন্স কাজ করে থাকে।

নিপ্পন অটোস ট্রেডিংয়ের মালিক ও বারভিডার সাবেক সভাপতি মান্নান চৌধুরী খসরু সংবাদমাধ্যমকে জানান, অ্যাম্বুলেন্সের মতো একই ধরণের অন্যান্য যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য শুল্ক কর প্রায় ১৫ লাখ টাকা। যেখানে কাস্টমাইজড অ্যাম্বুলেন্সের জন্য শুল্ক কর চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধরা হয়।

মান্নান চৌধুরী জানান, যেহেতু ২০২০ সালে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি অ্যাম্বুলেন্স আমদানি করা হয়েছে, তাই এ বছর অ্যাম্বুলেন্স বিক্রি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply