করোনার প্রভাবের কারণে এ বছর বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। আসছে ১৬ ডিসেম্বরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, করোনা মহামারীর কারণে এ বছর বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ হচ্ছে না।
বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকায় প্রভাতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হবে। সূর্য ওঠার সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
এরপর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দিনটি হবে সরকারি ছুটির দিন। সকল ধরনের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্য ওঠার সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সাজানো হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সাজানো হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। আর এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো পুরো মাস জুড়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচারের আয়োজন করবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াালি আলোচনা সভার পাশাপাশি এদিন আয়োজন করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতাস্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক পোস্টার প্রদর্শনীর। খুব অল্প সংখ্যক দর্শনার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রদর্শনীতে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, ভার্চুয়ালি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা যা ডাকযোগে বা ই-মেইলে অথবা অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।
শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোয়া ও উপাসনারও আয়োজন করা হবে ।
তাছাড়া, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে বিভিন্ন এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রসহ এ ধরনের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
পাশাপাশি, সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।