fbpx

কলিমউল্লাহর বক্তব্য অসত্য ও ভিত্তিহীন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সম্পর্কে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহের বক্তব্য অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

৪ঠা মার্চ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এই দিনই সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বেরোবি উপাচার্য কলিমউল্লাহ। তার নামে ওঠা নানা অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলেছে, তা মিথ্যা।’

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরো বলেন, ‘আজকে যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলব, এই পুরো পরিস্থিতিটা আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়, প্রশ্রয় ও আশকারায় হয়েছে। ইউজিসির রিপোর্টের পেছনের দায়দায়িত্ব পুরোপুরি শিক্ষামন্ত্রীর। তার পরামর্শেই কমিটি এই রকম রিপোর্ট করেছে।‘

উল্লেখ্য, রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ১০ তলা ভবন ও একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণে উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে ইউজিসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তে কলিমউল্লাহের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পায় ইউজিসি। ভবন ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ দুর্নীতি ছাড়াও কলিমুল্লাহের বিরুদ্ধে আরো ৪৫ টি অনিয়মের অভিযোগের তদন্তও করছে ইউজিসি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউজিসি তাদের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। ইউজিসি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তাই এ প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অভিযোগ অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ ছাড়া অধ্যাপক কলিমউল্লাহ তার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের পেছনে কুমিল্লা ও চাঁদপুর যথাক্রমে শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যের এলাকার রাজনীতিও জড়িত বলে মন্তব্য করেন। নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহের এসব কথা নিতান্তই অনভিপ্রেত ও রুচিবিবর্জিত বলে উল্লেখ করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে আরো বলা হয়, কলিমউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যেসব বক্তব্য রেখেছেন, সেসব বিষয়েও কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছে মন্ত্রণালয়। কারণ তার বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে ইউজিসি থেকে পাঠানো হয়েছে। সে বিষয়ে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।

কলিমুল্লাহর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য, মন্ত্রণালয়ে চলা তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাবার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি ধরনের ব্যবস্থা নেবে তা বক্তব্য আকারে পরবর্তীতে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয় গণমাধ্যমকে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিখিত বক্তব্যে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply