নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার ঘটনায় পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ৯৭ জনের নামে করা মামলার আবেদন আদালত ফেরত দিয়েছে।
মামলাটি ফেরতের বিষয়ে আদালত উল্লেখ করে যে এই মামলাটি আমলে নেওয়ার এখতিয়ার আদালতের নেই। তাই মামালার বাদিকে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করার পরামর্শও দেয় আদালত ।
১৫ মার্চ সোমবার নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান বাদীর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তবে মামলা ফেরত দেবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদি পক্ষের আইনজীবী জানান , আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁরা আগামীকাল জেলার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে আবেদনটি দাখিল করবেন।
বাদীর অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জা ছাড়াও তাঁর ছোট ভাই শাহাদাৎ হোসেন ও কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাসিককে আসামি করা হয়েছিল। এ ছাড়া আসামি দেখানো হয়েছিল অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে।
এর আগে গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে একই আদালতে আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নামে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়। দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু মামলার আবেদনটি করেন। আদালত শুনানি শেষে ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই ঘটনায় মিজানুর রহমানের অনুসারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও শ্রমিক লীগের চর ফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সাবেক যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও কমপক্ষে ২০ জন।