fbpx

কামরাঙ্গীরচরে হঠাৎ গ্যাস সংযোগ বন্ধ, বিপাকে ১৬ লাখ মানুষ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ওই এলাকার প্রায় ১৬ লাখ মানুষ গত ৬ দিন ধরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। গত ১০ মে থেকে গ্রাহকদের সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।  কোনো নোটিশ ছাড়া এমন সিদ্ধান্তে হতবাক চরের বাসিন্দারা।

বর্তমানে ওই এলাকার বাসাবাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ। এছাড়া হোটেল ও রেস্তোরাঁয় খাবার বিক্রিও বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। কবে নাগাদ গ্যাস সংযোগ মিলবে ও এর সমাধান জানেন না এলাকাবাসী।

জানা যায়, কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দারা এক দশক ধরে বেশির ভাগই গ্যাসের বিল পরিশোধ করেন না। কামরাঙ্গীরচ থানায় তিতাস গ্যাসের বৈধ সংযোগ ১২ হাজার। পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার। আর এই সকল অবৈধ গ্রাহকদের কারসাজির কারণে বৈধ গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছেন না। ফলে গত ১ দশকে গ্রাহকদের কাছে তিতাসের পাওনা জমেছে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাসের বিল আদায়ে অপারগ হয়েই তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এমন কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তারা জানান,  অবৈধ সংযোগকারীরা কারসাজি করে গ্যাস সরিয়ে নিচ্ছে। এ কারণে অভিযোগ এনে বৈধ গ্রাহকেরা বিল পরিশোধ করেন না। নানা উদ্যোগ ও আলোচনা করেও বকেয়া বিল আদায়ের কোনো পথ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য ওই এলাকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তিতাস কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ১২ হাজার গ্রাহকের কাছে ৬৮ কোটি টাকা গ্যাসের বিল বকেয়া-এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই এলাকায় যেসব বাসাবাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা শুধু গ্যাসের সুবিধা গ্রহণ করবে। কিন্তু অন্যরা চোরাই লাইন দিয়ে সেসব গ্যাস বের করে নিচ্ছে। এত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা তিতাসের জন্য দুরূহ ব্যাপার। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারা অবৈধ গ্যাস সংযোগ রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তিতাস তাদেরকে সহযোগিতা করবে। এভাবে সমাধান এলে পুনরায় কামরাঙ্গীরচরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে।

এদিকে এলাকার বাসিন্দারা বলছে, ১৭ বছর ধরে গ্যসের চুলায় রান্না করা যায় না। সকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। ফলে সিল্ডিার গ্যাস কিনে রান্না করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা তিতাসের গ্যাসের বিল দেব কেন?

তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকায় ১৫ থেকে ১৭ লাখ মানুষ রান্না ও খাবার নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন। । বর্তমানে সেখানে গ্যাসের বৈধ সংযোগ ১২ হাজার হলেও অবৈধ সংযোগ প্রায় ৪০ হাজার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply