fbpx

কারাগারে নারীসঙ্গ পেতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচ করেন তুষার!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদ কাশিমপুর কারাগার-১ এ নারীর সাথে সময় কাটানোর জন্য দুজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারীকে ঘুষ দিয়েছিলেন। জেলারকে ১ লাখ, ডেপুটি জেলারকে ২৫ হাজার এবং সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর ও গেট সহকারী প্রধান কারারক্ষীকে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ দেন তিনি।

১৪ জানুয়ারি কারা মহাপরিদর্শকের কাছে দেওয়া জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, রত্না রায় প্রতিবেদনে নিজের কোনো দায় বা অবহেলার কথা উল্লেখ করেননি, যদিও ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজে তার সম্পৃক্ততা দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে ওই দিনের ঘটনার জন্য জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধাকে প্রধানত দায়ী করেছেন রত্না রায়। তিনি বলেছেন, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধার অনুমতি নিয়ে পুরো ঘটনার সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. সাকলায়েন ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ওই দিন দায়িত্ব পালনরত ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে প্রতিবেদনটি তিনি তৈরি করেছেন। এতে জেলারের জবানবন্দি কেন নেয়া হয়নি, এর পেছনে যুক্তি হিসেবে রত্না রায় বলেন, যেহেতু পুরো ঘটনা জেলারের তত্ত্বাবধানে ঘটেছে, তাই জেলারকে না জানিয়ে ওই দিন যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে রত্না রায় আরো উল্লেখ করেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে তার অগোচরে ও গোপনে হয়েছে। কারাগারের গেটে জেলারই তাদের কারাগারে প্রবেশের অনুমতি দেন এবং ডেপুটি জেলার তাদের রিসিভ করেন, যা সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে। সামগ্রিক বিষয়টি ওয়াকিটকির মাধ্যমে না বলে গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে মুঠোফোনের মাধ্যমে হওয়ায় কেউ জানতে পারেনি। তার দাবি, তার অজান্তেই এসব করা হয়েছে।

৬ জানুয়ারি তুষার আহমদ কারাগারে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটান। ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষের দিকে যান। সেখানে ওই নারীকে ডেপুটি জেলার সাকলায়েন স্বাগত জানান।

ফুটেজে আরও দেখা যায়, ওই নারী কক্ষে ঢোকার পর সাকলায়েন বেরিয়ে যান। এরপর জেল সুপার রত্নার কক্ষের দিকে যান তুষার। পরে তুষার ও ওই নারী সাকলায়েনের কক্ষে ফেরেন। সেখানে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ছিলেন তারা।

এদিকে, ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন ও গেট ওয়ার্ডের সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, তারা জেলারকে জানিয়ে তুষারকে কারাগারের কার্যালয়ে নিয়েছিলেন।

রত্না তার প্রতিবেদনে জেলারের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে জানান, জেলারের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া একজন বিচারাধীন আসামির সঙ্গে কারও সাক্ষাতের জন্য কারাগারের অফিসে আসা সম্ভব নয়। জেলারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে অবহিত করার কথা। কিন্তু জেলার তাও করেননি।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, এরইমধ্যে দোষী জেল সুপার, জেলারসহ জড়িত সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্তও চলছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply