দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের দুই মাস পর তাদের দেয়া হবে প্রতিষ্ঠানিক ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার’।
এদিকে দেশের ৪৯টি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই তালিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়টি।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সম্প্রতি গঠিত ই-কমার্স সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান। গতকাল ১ নভেম্বর (সোমবার) এ সংক্রান্ত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ৪৯টি ই-কমার্স প্লাটফর্মের নাম বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানান সচিব।
তিনি জানান, দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে এবং নিবন্ধনের দুই মাসের মধ্যে তাদেরকে ‘ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার’ দেওয়া হবে।’
এছাড়া পেমেন্ট গেটওয়েতে গ্রাহকের ২১৪ কোটি টাকা, ‘অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে আটকে আছে জানিয়ে অতিরিক্র সচিব বলেন, তহবিল ‘ডি-ফ্রিজ’ করতে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাবো।
ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করে। যার মধ্যে এসক্রো পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসক্রো পেমেন্ট পরিষেবাতে, ই-কমার্স কোম্পানিগুলো থেকে অর্ডার করা পণ্যের জন্য গ্রাহকদের দেওয়া অর্থ তৃতীয় পক্ষের পেমেন্ট গেটওয়েতে জমা হয়। পরে গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে এমন প্রমাণের নথি জমা দেওয়ার পরে কোম্পানিগুলো তাদের বিক্রিত পণ্যের অর্থ পায়।