fbpx

কী কী চমক থাকছে আধুনিক চিড়িয়াখানায়!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এয়ারপোর্ট কোথায়? দেশ-বিদেশ ভ্রমণকারীরা এক মুহূর্ত চিন্তা না করে উত্তর দিতে পারবেন, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট। এবার যারা বন্যপ্রাণীর খোঁজ খবর রাখেন, তারাও চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারেন, এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় চিড়িয়াখানা-সিঙ্গাপুর জু। যেখানে প্রাণীরা খাঁচায় নয়, থাকে খোলা জায়গায়, ঠিক তাদের উপযোগী বন্য পরিবেশে।

যদি বলি, ঠিক এই আদলেই গড়া হবে বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা? চোখ কপালে উঠবে কি?

একবার ভাবুন, চিড়িয়াখানায় ঢোকার পথেই সুন্দরবনের বনভূমি, শ্বাসমূল গোলপাতার ফাঁকে ফাঁকে হেলেদুলে হেঁটে বেড়াচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তার পাশেই হরিণ বানরের ছোটাছুটি আর পাখিদের কিচিরমিচির। আফ্রিকা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা প্রতিটি প্রাণীর জন্য করা হবে তাদের উপযোগী আদি প্রাকৃতিক পরিবেশ।

অবাক হবার মতো খবর হলেও জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর আবদুল লতিফ বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের চিড়িয়াখানাকে বাস্তবে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক চিড়িয়াখানার আদলে রূপ দিতে এক মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে ৫ বছরের মতো। বর্তমানে পরিকল্পনাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আমাদের হাতে পৌঁছালেই আমরা কাজ শুরু করে দিবো।

মিরপুর চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক চিড়িয়াখানায় হবে দৃষ্টিনন্দন দুটি প্রবেশ পথ। থাকবে পরিবেশ বান্ধব মাল্টিস্টোরেড পার্কিং ভবন। ১৮৬ একর চিড়িয়াখানার চারিদিকে থাকবে সবুজে ঘেরা হাঁটার রাস্তা। প্রাণীদের পরিবার, গোত্র উপযোগী পরিবেশের পাশাপাশি নিশাচর প্রণীদের জন্য হবে নাইট জোন।’

চিড়িয়াখানার লেক দুটির উপর হবে ভাসমান ব্রিজ, জানিয়ে আবদুল লতিফ বলেন, ‘লেকের মাঝখানের দ্বীপে থাকবে উভচর প্রাণী। ব্যাঙ, গুই সাপ ইত্যাদি থাকবে। বিদ্যুৎ নয় চিড়িয়াখানা পরিচালিত হবে পরিবেশ বান্ধব সোলার এনার্জিতে। যারা সারাদিনের জন্য আসবেন, তারা খুব সহজেই ফুডকোর্ট থেকে খাবার কিনে খেতে পারবেন। শিশুদের জন্য করা হবে কিডস জোন। শিক্ষা গবেষণাগার, প্রাণীদের জন্য আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। তাতে থাকবে আইসিইউ, সিসিইউসহ সব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। দর্শণার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাখা হবে ট্রাভেল কার, জোন ভিত্তিক ট্রাম কার।

দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে পৃথিবী, পাল্টাচ্ছে মানুষের দৃষ্টি। আধুনিক দুনিয়ার সাথে তাল মেলাতে লাল সবুজের বেশ দেরী হলেও সময় একেবারেই ফুরিয়ে যায়নি। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন সম্ভব হলে আধুনিক চিড়িয়াখানা কেন নয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply