কুষ্টিয়ার মিলপাড়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ চলছে। পাশাপাশি, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে রেলওয়ের পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টর (পিডিবিআই) সাইফুল ইসলামকে। মালবাহী ট্রেনের সাথে রেলওয়ে ট্রলির সংঘর্ষের ঘটনার কারণ খুঁজতে গঠন করা হয়েছে দু’টি তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ শাহীদুল ইসলাম। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (৬ মার্চ) তদন্ত কর্মকর্তাদের সরেজমিনে ঘটনাস্থল গিয়ে তদন্ত শুরু করার কথা রয়েছে। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, “অন দ্যা স্পট” তদন্ত রিপোর্ট নেয়া হবে।
কুষ্টিয়া রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েকবার শ্রমিকদের রেললাইন থেকে ট্রলি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও তারা ট্রলি না সরানোর কারণেই মুখোমুখি এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রেনের মাঝের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ফরিদপুরগামী মালবাহী ট্রেনটিতে ২২টি বগিই ছিল গমবোঝাই।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈশ্বরদী থেকে শুক্রবার বিকেল ৫টায় উদ্ধারকারী ট্রেন এসে লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধারের কাজ করছে। শনিবার বিকেল নাগাদ এই রুটে আবারও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানা যায়।
এদিকে, এ দুর্ঘটনার পর থেকেই কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী ও রাজশাহী-টুঙ্গিপাড়ার পাঁচটি ট্রেনের চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেলপথে কুষ্টিয়া স্টেশনের মিলপাড়া এলাকায় শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি মালবাহী ট্রেনের সাথে রেলওয়ে ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে কেউ হতাহত না হলেও গম বোঝাই পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।