fbpx

কৃত্রিম পা থেকে মদ্যপান, এ কোন নৃশংসতা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

অস্ট্রেলিয়ান সেনার কৃত্রিম পা থেকে মদ্যপানের ছবি দেখে আফগানরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

একজন অস্ট্রেলিয়ান স্পেশাল ফোর্সের সদস্য হয়ে নিহত তালেবান যোদ্ধার কৃত্রিম পা থেকে মদ পান করার ছবি নিয়ে ঘৃণার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আফগান নাগরিক সমাজের নেতারা।

মঙ্গলবার গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে উরুগান প্রদেশের রাজধানী তারিন কোটের একটি ঘাঁটিতে বেসরকারী একটি বারে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন প্রবীণ সৈনিক পা থেকে বিয়ার পান করছেন।

অন্য আরেকটি ছবিতে একই বছর অভিযানে নিহত সন্দেহভাজন তালেবান যোদ্ধার পা নিয়ে সেনাদের নাচতে দেখা যাচ্ছে।

উরুগান প্রদেশের কাউন্সিলের সদস্য হায়াতুল্লাহ ফজলি তারিন কোটে তার অফিস থেকে ফোনে কথা বলে গার্ডিয়ানকে জানান, “এটি আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জঘন্য, হতবাক এবং ভয়াবহ চিত্র”।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ান স্পেশাল ফোর্সের আচরণের বিষয়ে চার বছরের তদন্তের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে, ৩৯ জন বন্দী ও বেসামরিক নাগরিকের হত্যা এবং অন্য দু’জন আফগানের সাথে নির্মম আচরণে সেনারা যুক্ত ছিল।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ২৫ জন কর্মচারী বা প্রাক্তন এডিএফ কর্মী গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিল। আর অভিযুক্তদের কেউই যোদ্ধা ছিল না।

অভিযোগযুক্ত অপরাধের বিচারের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারীর কার্যালয় গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে “অস্ট্রেলিয়ার সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে অবজ্ঞাপূর্ণ পর্ব” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

আফগান স্বতন্ত্র মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ ফরহাং বলেছেন, “ছবিতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ান সৈন্যদের আফগানদের জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা নেই”।

“এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধও। এর তদন্তের জন্য কার্যালয়ের ব্যবস্থা করায় অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই, এটি অন্যান্য অপরাধ তদন্ত করতেও সহায়তা করবে”।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর সহযোগী এশিয়া পরিচালক প্যাট্রিসিয়া গসম্যান বলেছেন, অভিযুক্তদের আটকাতে বা শাস্তি দিতে ব্যর্থ হলে প্রসিকিউটরদের “চেইন অব কমান্ড তদন্ত করা” এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যারা দায়ী তাদের ফৌজদারীভাবে দণ্ডিত করা দরকার।

গসম্যান আরো বলেছেন, “আফগান সরকারের ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে কথা বলা উচিত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং এই অপরাধে ক্ষতিগ্রস্থ আফগানদের পর্যাপ্ত ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।”

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply