fbpx

কৃষিখাতে প্রণোদনা তিন হাজার কোটি, কৃষক পাবেন স্বল্পসুদে ঋণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক সঙ্কট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষিখাতের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। সহজ শর্তে ৪ শতাংশ সুদহারে এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন কৃষক।

১৪ সেপ্টম্বর (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের বরাবর,বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ স্কিম গঠন ও পরিচালনার নীতিমালাবিষয়ক নির্দেশনা পাঠানো হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় দেশের কৃষিখাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কৃষি কর্মকাণ্ড অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে কৃষির বিভিন্ন খাতসমূহে স্বল্পসুদে প্রয়োজনীয় ঋণ প্রবাহ নিশ্চিত করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যে ইতোপূর্বে গৃহীত বিভিন্ন প্রণোদনামূলক পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় কৃষিখাতের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে কৃষিখাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম (দ্বিতীয় পর্যায়)। স্কিমের আওতায় তহবিলের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা। যার মেয়াদ হবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত ব্যাংকসমূহের মধ্যে ইচ্ছুক ব্যাংকসমূহকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে। ব্যাংকসমূহের কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা, ঋণ বিতরণের সক্ষমতা ইত্যাদির ভিত্তিতে কৃষিঋণ বিভাগ কর্তৃক ব্যাংকসমূহের অনুকূলে তহবিল বরাদ্দ করা হবে।

অংশগ্রহণকারী ব্যাংক কর্তৃক এ স্কিমের আওতায় বিভিন্ন সময়ে ঋণ বিতরণের সক্ষমতা পর্যালাচোনান্তে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে প্রয়োজনবোধে বরাদ্দকৃত তহবিলের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে। কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের পর পেশকৃত পুনঃঅর্থায়ন দাবি পর্যালোচনাপূর্বক পর্যায়ক্রমে বরাদ্দকৃত তহবিলের সমপরিমাণ অর্থায়ন করা হবে।

এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত খাতসমূহে কৃষক/গ্রাহককে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক নিজ ব্যাংক হতে প্রদত্ত বিদ্যমান ঋণ সুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) এ স্কিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে।

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য/ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন (শুধুমাত্র ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে। গৃহস্থলী পর্যায়ে গাভী পালন,গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। শস্য ও ফসল ঋণ ব্যতীত অন্যান্য খাতের ঋণসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত বা সহায়ক জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

এ স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক হতে নির্ধারিত ১ শতাংশ সুদহারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ (সরল হারে)। এ সুদহার নতুন ও পুরাতন সব গ্রাহকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ হতে অনধিক ১৮ মাসের (১২ মাস এবং গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস) মধ্যে আসল এবং সুদ বা মুনাফা (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ১ শতাংশ সুদহারে) পরিশোধ করবে।

কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ শুরু করার পর অংশগ্রহণকারী ব্যাংক কর্তৃক মাসিক ভিত্তিতে পুনঃঅর্থায়ন দাবি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পুনঃঅর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিম্লোক্ত প্রয়োজনীয় তথ্য বা কাগজপত্রসহ মহাব্যবস্থাপক, কৃষিঋণ বিভাগ,বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পুনঃঅর্থায়ন দাবি করবে।

ঋণের বকেয়া নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরিশোধিত না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চলতি হিসাব বিকলন করে তা আদায় বা সমন্বয় করা হবে।

এ স্কিমের আওতায় বিতরণকৃত প্রতিটি ঋণের জন্য পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করা ও ব্যাংক হতে অর্থায়ন প্রাপ্তির পর নিবিড় মনিটরিং করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

 

 

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply