দেশের আটটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৭ জুলাই থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে, যা শেষ হবে ১৬ আগস্ট। আর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কৃষিগুচ্ছের অধীন এই ৮ বিশ্ববিদ্যালয় হলো- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
যারা আবেদন করতে পারবেন
২০১৭/২০১৮/২০১৯ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২০/২০২১ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তারাই আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ–৪. ০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ–৮. ৫০ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ–৪.০০ এবং সর্বমোট জিপিএ–৮.৫০ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে A ও B গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।
আবেদন ফি
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফি ১২০০ টাকা (ট্রানজেকশন চার্জ ছাড়া)।
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র
এবার সাতটি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী, আবেদনকারীকে ১ থেকে ৭ পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী, পরীক্ষাকেন্দ্রের আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।
লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষা
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাতটি কেন্দ্রে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি/সমমান পর্যায়ের ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০. ২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মেধা স্কোর
মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে।
আসন সংখ্যা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৪, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন আছে। সব মিলিয়ে এই আট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন ৩ হাজার ৫৩৯টি।
ভর্তি পরীক্ষার তথ্য
আবেদনসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।