আজ ২৪ নভেম্বর, প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকীর প্রয়াণ দিবস। ২০১৭ সালের এই দিনে ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। হৃদরোগ ছাড়াও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
তাঁকে বলা হতো বাঁশির জাদুকর। দেখতে দেখতে তিন বছর কেটে গেছে। কিন্তু, সংগীতপ্রেমীরা আজও তাঁকে এবং তাঁর সৃষ্টি মনে রেখেছেন।
প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার এক সংগীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের কাছেই গান শেখায় হাতেখড়ি। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু তার। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন।
ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় বারী সিদ্দিকীকে দেখেন। বারীকে আরও প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। এরপর, ছয় বছর ওস্তাদ আমিনুর রহমানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন ভাটির এই শিল্পী।
সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী।
এরপর ধ্রুপদী সংগীতে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন।
দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও, সবার কাছে বারী সিদ্দিকী ‘শিল্পী’ হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবিতে গান গেয়ে তিনি জনপ্রিয়তা পান।
তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পূবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’।