fbpx

কোন ভ্যাকসিনে বেশি সুরক্ষা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফাইজার নাকি মর্ডানা? সিনোফার্ম নাকি অ্যাস্ট্রাজেনেকার? আছে নানা দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে বিদেশগামীদের পোহাতে হচ্ছে নানা জটিলতা। অবশ্য এই জটিলতার জন্য কম দায়ী নয় আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতি। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কোনো দেশ অনুমোদন দিয়েছে ফাইজার, আবার কোন দেশ চাইছে মর্ডানার সার্টিফিকেট।

১৪ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রবাসীরা টিকা নিতে এসে দেখেন, ফাইজারের মজুদ শেষ, মর্ডানার মজুদ আছে। কিন্তু সৌদিসহ বেশ কয়েকটি দেশে ফাইজারের টিকা ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে। এমতাবস্থায় টিকা ছাড়া বিদেশ গেলে থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে। যার খরচ আছে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। যা প্রবাসী শ্রমিকদের কাছে প্রায় অসম্ভব।

এ তো গেলো প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ। সাধারণ মানুষের মধ্যেও টিকার ভাল-মন্দ নিয়ে আছে বিস্তর তর্ক। চায়নার টিকার চেয়ে ভালো আমেরিকার টিকা, কেউ বলছেন অক্সফোর্ডেরটায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। যদিও না জেনেই ওসব তর্ক।

ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন রাজধানীর শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার। বিবিএস বাংলাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সব টিকাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়েই বাজারে এসেছে। তাই কোনো টিকাই কম কার্যকর নয়। কোনটা হয়তো ৯৫ শতাংশ কাজ করে, কোনটা হয়তো ৯৭ শতাংশ কাজ করে। প্রবাসীরা যে ঝামেলায় পড়েছেন, তা আসলে ওইসব দেশের বিধিনিষেধের কারণে। এছাড়া সব টিকাই প্রায় সমান কার্যকর।’

দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরেও করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে কয়েক জায়গায়, মৃত্যুর ঘটনাও আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোন টিকাই শতভাগ কার্যকরী নয়। টিকা নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে, তাই মানতে হবে বিধিনিষেধ। তবে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর কারও মৃত্যু হয়েছে এমন সংবাদ আমাদের কাছে নেই। টিকা নিলে করোনা আক্রান্ত হলেও রোধ করবে মৃত্যু ঝুঁকি। তাই সবাইকে হাতের কাছে পাওয়া যেকোন টিকা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চোখ রাঙানি ঠেকাতে ৮০ শতাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনতে, এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তি করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত চার রকমের টিকা এসেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড আসার পরপরই ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় গণ টিকাদান কর্মসূচি। এই প্রক্রিয়া আরও বেগবান হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ফাইজার, মর্ডানা এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা পাওয়ার পর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply