fbpx

কোভিডের নতুন লক্ষণ, এড়িয়ে যাবেন না

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গোটা বিশ্বে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার প্রথম ঢেউ এর সাথে দ্বিতীয় ঢেউয়ের উপসর্গের পার্থক্য চোখে পড়ছে বেশ। নতুন কিছু উপসর্গ যুক্ত হয়েছে।

দ্বিতীয় ঢেউতে আগের চেয়ে অনেক বেশি ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। শুরুতেই কারও কারও ফুসফুস সংক্রমিত হচ্ছে।

এ বছর অনেক করোনা রোগীই বুকে ব্যথার কথা জানাচ্ছেন। ডাক্তারদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই বছর কোভিড আগের চেয়ে বেশি কঠিন উপসর্গ নিয়ে আসছে। গত বার হাল্কা জ্বর, গলা খুসখুস দেখা যাচ্ছিল বেশি। এবার অনেকের ক্ষেত্রেই পেটের যন্ত্রণা, বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

শুধু বুকে ব্যথাই নয়, সেই সাথে বেড়েছে অনেকের কাশির দমক। এমনকি, খুব বেশি গলা ব্যথাও থাকছে অনেকের। শ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছে কারোও কারোও। বুকে ব্যথা হচ্ছে মানে, শ্বানালিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়বেটিস রোগী এবং ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর, শুকনো কফ জমা এবং ক্লান্তি। এছাড়াও গন্ধ এবং স্বাদ না পাওয়া, গা হাত পায়ে ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া, ত্বকে র‍্যাশ কিংবা  হাত পায়ের আঙ্গুলের রঙ পরিবর্তনও করোনা সংক্রমণের লক্ষণ।

যেসব কারণে হতে পারে বুকে ব্যাথা

১। চিকিৎসকদের দাবি, করোনা আক্রান্তদের অনেকেরই ভয়ানক শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তা থেকে বুকে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।

২। চিকিৎসকদের কথায়, ফুসফুসের আশপাশের টিস্যুতে ইনফ্লেমেশন কিংবা হার্টে আঘাতের কারণে এই বুকে ব্যথা দেখা দিতে পারে।

৩। ইমিউনিটি সিস্টেম থেকে নির্গত ইনফ্লেমেটারি সাইটোকাইন্স হার্টের কোষগুলিকে ড্যামেজ করে। একে বলে সাইটোকাইন সিনড্রোম। এর ফলে হৃদপিণ্ডের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়ে হার্ট দুর্বল হযে পড়ে। ফলে বুকে ব্যথা হতে শুরু করে।

৪। কোভিডের কারণে নিউমোনিয়া হলে ফুসফুসের ইনফ্লেমেটারি বেড়ে যায়। ফলে বুকে ব্যথা হয়।

৫।  অতিরিক্ত কাশি এবং গলা ব্যথার কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে।

৬।  কোভিডের কারণে ডায়রিয়া বা খাবারে অনীহার কারণে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস থেকেও বুকে ব্যথা হতে পারে।

করোনা হলেই আতঙ্কিত হবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী কিন্তু ভালো হয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনের হিসাব দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, মৃতের চেয়ে সেরে ওঠার হার অনেক অনেক বেশি। তাই মনে জোর রাখুন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply