করোনা মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে জরুরি উদ্যোগ ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই মহামারী পুষ্টি উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য বাধার সৃষ্টি করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টোকিও নিউট্রিশন ফর গ্রোথ সামিট-২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমাদের পুষ্টি উদ্যোগগুলো মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে। সব নাগরিকের জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করা কঠিন কাজ হলেও পুষ্টি নিরাপত্তায় বিনিয়োগে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উপকার অনেক, যা টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে নিয়ে যায়’।
তিনি জানান, গত এক দশকে বাংলাদেশ অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে ব্যাপক সাফল্য ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে পাঁচটি প্রস্তাব দেন –
* পুষ্টি কর্মসূচিতে এর প্রভাব সহ কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে।
* উচ্চ ফলনশীল পুষ্টিকর খাবার বাড়ানোর জন্য অগ্রিম গবেষণার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
* জরুরি দুর্যোগ থেকে নিরাপদ রাখতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে খাদ্য ব্যাংক গড়ে তোলা।
* খাদ্যে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন এবং দক্ষতা বিনিময়।
* জলবায়ুর কারণে চরমভাবাপন্ন পরিবেশের কারণে উন্নয়নশীল বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তা পুষিয়ে নিতে প্রতিশ্রুত জলবায়ু অভিযোজন তহবিল দ্রুত বিতরণ।