বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বজুড়ে বিনামূল্যে করোনা টিকা সরবরাহের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশ রয়েছে চার নম্বরে। সে অনুযায়ী, আগামী জুন মাসের আগেই বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ১ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার করোনা টিকা পাবে কোভ্যাক্স থেকে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) স্বল্পোন্নত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত “ইউনিসেফ” এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুনের আগে বাংলাদেশের পাশাপাশি নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও ব্রাজিল সবচেয়ে বেশি টিকা পাবে। পরে মে মাসের শেষ নাগাদ ১৪২টি দেশে ২৩ কোটি ৮২ লাখ ডোজ করোনা টিকা পাঠানো হবে। মূলত, ধনী-গরিব সব দেশে সবার মধ্যে টিকার ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করাই কোভ্যাক্সের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে পুরো বিশ্বে নিরাপদ ও কার্যকর ২০০ কোটি ডোজ করোনো টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে মোট ১৯৮টি দেশ। তবে, প্রথম দফায় সব দেশকেই টিকার আওতায় আনা হচ্ছে না। এই কর্মসূচিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দেশ হিসেবে টিকা পেয়েছে আফ্রিকার দেশ ঘানা। আজ বুধবার প্রথম দফায় সেনেগালে টিকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আরো ২০টি দেশে এ সপ্তাহের মধ্যেই টিকা পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
কোভ্যাক্স অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২৩ কোটি ৭ লাখ ডোজ টিকার পাশাপাশি ফাইজার ও বায়োএনটেকেরও ১২ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। এই দুই ধরনের টিকার ক্ষেত্রেই দু’টি করে ডোজ নিতে হবে। পাশাপাশি, নোভ্যাক্স ১১০ কোটি ডোজ টিকা দেবে কোভ্যাক্সকে। এদিকে, সানোফি-জিএসকে এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সাথেও চুক্তি হয়েছে কোভ্যাক্সের। তবে, এই কর্মসূচির আওতায় যেসব টিকা বিতরণ করা হবে, তা অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত হতে হবে।