করোনার প্রভাব পড়েছে কোরবানির গরুর হাটেও। পবিত্র ঈদুল আজাহা বা কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র ছয় দিন। স্বাভাবিক সময়ে দুই সপ্তাহ আগেই হাট শুরু হয়ে যায়। তবে চলমান স্থবিরতায় সবে হাটের প্রস্তুতি চলছে।
রাজধানীর আফতাফ নগরের বিশাল এলাকা জুড়ে এই হাটে আজ থেকেই গরু আসা শুরু করেছে। তবে সংখ্যায় খুব কম। এখনও ফাঁকাই পরে আছে বিরাট এই পশুর হাট। করোনার কারনেই হাট দেরি করে বসছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার ও পাইকাররা।
হাটের এক জন ইজাদার বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘ আমরা আশা করি আজকে রাতরে গরু ভইরা গাইবোগা। আপনারা দেখতাছেন গরু আইছে, আরও গরু আইবো। হাট বসাইতে লেট হইছে আমাগো। এখন কেনা-বেচা হইলেই ভাল।’
এই হাটে চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খামারি ও পাইকাররা গরু নিয়ে আসে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতা না দেখতে পাওয়ায় অনেকেই জানিয়েছেন হতাশার কথা।
এক খামারি বলেন,’ গরুতো সবাই দ্যাশ দিয়া আনতাছে এবার। কিন্তু নেবার তো লোক নাই।’
অনেকেই আবার আশা করছেন, ঈদের তিন চার তিন আগে থেকে হয়তো জমে যাবে হাট। ভাল লাভ নিয়েই ফিরতে পারবেন তারা।
করোনা সংক্রমণের কারণে পশুর বড় একটা অংশই অনলাইনে বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাটে পশুর ঘাটতির জন্য এটাও একটা বড় কারণ বলে জানিয়েছেন পাইকাররা। একই সাথে লকডাউনের কারণে লাখো মানুষ ঢাকা ছাড়ে গেছে,তাই ক্রেতাশূণ্যতার আশঙ্কা করছেন তারা।