fbpx

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এখনও আমরা ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করছি। এত এত ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে, কিন্তু ক্যান্সারের কার্যকর ওষুধ এখনও আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তাই ক্যান্সার নিয়ে আজও আমাদের মনে আতঙ্ক কাজ করে। এজন্যই এখন সবাই চেষ্টা করছে এমন একটা জীবন যাপনের যেখানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরীরচর্চার মাধ্যমে সাত ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন একদল গবেষকরা। সাড়ে সাত লাখ মানুষের অংশগ্রহণে নয়টি পর্যায়ে এই গবেষণাটি করা হয়।

‘আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র ‘হার্ভার্ড টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট’য়ের গবেষকরা এই গবেষণা করেছেন। ‘ক্লিনিক্যাল অনকোলজি’ শীর্ষক জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

আমেরিকারন ক্যান্সার সোসাইটি’য়ের ‘এপিডেমিওলজি’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক অল্পা প্যাটেল বলেন, ‘শারীরিক পরিশ্রমের বিধিনিষেধ অনেকাংশেই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ক্ষেত্রে এর প্রভাবের ওপর নির্ভরশীল।’

সাধারণত বলা হয়, সপ্তাহে প্রতিদিন আড়াই থেকে পাঁচ ঘণ্টা মৃদু থেকে ভারি শরীরচর্চা অথবা দেড় থেকে আড়াই ঘণ্টা ভারী শরীরচর্চাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু ক্যান্সারের এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, বিধিনিষেধ মোতাবেক প্রতি সপ্তাহে মোট সাড়ে সাত থেকে ১৫ ঘণ্টা শরীরচর্চা ১৫ ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে সাত ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। শরীরচর্চার মাত্রা বাড়ালে উপকারের মাত্রাও বাড়ে।

পুরুষের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ঘণ্টা শরীরচর্চার মাধ্যমে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে ৮ শতাংশ, আর ১৫ ঘণ্টা শরীরচর্চায় ঝুঁকি কমেছে ১৫ শতাংশ। একইভাবে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে ছয় থেকে ১০ শতাংশ, ‘এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার ১০ থেকে ১৮ শতাংশ, বৃক্কে ক্যান্সার ১১ থেকে ১৭ শতাংশ, ‘মায়লোমা’ ক্যান্সার ১৪ থেকে ১৯ শতাংশ, যকৃতের ক্যান্সার ১৮ থেকে ২৭ শতাংশ এবং ‘নন-হজকিন লিম্ফোমা’র ঝুঁকি নারীদের ক্ষেত্রে কমে ১১ থেকে ১৮ শতাংশ।

অতএব, এই গবেষণা থেকেই প্রমাণিত ব্যায়াম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply