চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্রেতাদের সচেতন হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, খোলা চাল প্যাকেটজাত করার পরে দামটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সেটা একই চাল। সেটা যদি বাজার না পেত তাহলে ব্যবসায়ীরা তো এ ব্যবসায় যেত না।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন ছিল কারা কিনছে এই জিনিসটা। আজকে প্যাকেটজাত খাবার কেনার টেনডেনসি একটা মহলে বেড়েছে। গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষ মোটা চালটা কিনতে চায় না। তারা ঘুরে ফিরে চিকন চাল খাচ্ছে, সেটা ঘুরে ফিরে মোটা চালেরই এক নতুন পরিবর্তিত রূপ কিন্তু তারপরও তারা সেটাই কিনতে চাচ্ছে। আমি যেটা দেখতে চাইছি ক্রেতা মহল কিনছে কেন? তাদেরও সচেতন হওয়া উচিৎ। বিক্রি হলে ব্যবসায়ীরা নেবেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখবে, এ ব্যাপারে কথা হয়েছে।
টিপু মুনশী বলেন, এটা ঠিক আমাদের চালের মজুত আছে। সেটা আমাদের খাদ্যমন্ত্রী-কৃষিমন্ত্রীও বলেছেন।
ভোজ্য তেলের দামের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুখবর যেটা পামঅয়েলের দাম কমেছে এবং সয়াবিনের দামও কমের দিকে লক্ষ করা যাচ্ছে। আগামী ৬-৭ দিনের মধ্যে যে সভা হবে সেটা বিশ্লেষণ করে দেখে নতুন দাম আসবে। বাড়ার সম্ভাবনা নেই, আমার ধারণা নতুন প্রাইস অনুসারে দামটা কমবে। পামঅয়েলে যথেষ্ট প্রভাব পড়বে, সয়াবিনও অন্তত বাড়বে না সে রকমই আমরা আশা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৩ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে। আমি কখনো বলিনি, ১৭ কোটি মানুষের খুব পয়সা বেশি হয়েছে। এ দেশের সার্বিক অবস্থায় বাস্তবতা হলো, ২০ শতাংশ মানুষ লো ইনকাম গ্রুপ। সেটাকে মাথায় রাখতে হবে। ১৭ কোটির মধ্যে ৩ কোটি বাদ দিলে ১৪ কোটি থাকে। এর মধ্যে ৫ কোটি মানুষের বাইং ক্যাপাসিটি অলমোস্ট ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডের মতো। সব কিছুই তো এভারেজ করা হবে; আমাদের যেমন ৩ কোটি মানুষকে অ্যাডজাস্ট করা দরকার দরিদ্র শ্রেণির, সেটাই আমরা করছি। পাশাপাশি ৩ কোটির জায়গায় হয়তো ৫ কোটি বেনিফিটটা পাচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে সেটা ঠিক, আপনারাও জানেন কোন শ্রেণির-কত জনের। আর ৩ কোটি দরিদ্রসীমার নিচে রয়েছে, তাদের জন্য আমরা দেখবো।