‘খ’ ইউনিটের পর এবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। যেখানে ৯৪ হাজার ৫০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১০ হাজার ১৬৫ জন। সে হিসাবে পাসের হার ১০ দশমিক ৭৬। আর ফেল করেছেন ৮৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাবির উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের উপস্থিতিতে ফল প্রকাশ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী মিহির লাল সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষার ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসইট admission.eis.du.ac.bd থেকে ফলাফল জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে ফোনে ফল জানতে যে কোনো অপারেটরের মেসেজ অপশনে গিয়ে DU স্পেস Kha স্পেস (ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর) লিখে ১৬৩২১ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।
‘ক’ ইউনিটে এবার প্রথম হয়েছেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র মেফতাউল আলম সিয়াম। তাঁর মোট নম্বর ১১৭ দশমিক ৭৫। দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র আসিফ করিম। তার মোট নম্বর ১১২ দশমিক ৭৫ । তৃতীয় হয়েছেন খুলনা পাবলিক কলেজের ছাত্র নিত্য আনন্দ বিশ্বাস। তার মোট নম্বর ১১১ দশমিক ৯৫।
উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে আগামী ৯ নভেম্বর বেলা তিনটা থেকে ২১ নভেম্বর বেলা ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে। কোটায় আবেদনকারীদের ৪ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে এবং তা যথাযথভাবে পূরণ করে ওই সময়ের মধ্যে ডিন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। আর কারো যদি ফলাফল নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে, তা নিরীক্ষার জন্য ফি দেওয়া সাপেক্ষে ৪ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
গত ১ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছিল। এবার ১ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন বিভাগ-ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
ফল প্রকাশের সময় উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট অনুষদের ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে। এক সপ্তাহ বা দশ দিনের মধ্যে বাকি ইউনিটগুলোর (গ ও ঘ) ফলাফলও প্রকাশ করা হবে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের করা ক্ষতি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রযোজ্য হবে।