fbpx

খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাসের কারণে এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে দেশের উন্নয়নের গতি ‘অনেকটা শ্লথ’ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই নিজেদের সম্পদ-মাটি-মানুষ দিয়েই এই সংকটকালে দেশকে সুরক্ষিত রাখার প্রত্যয় জানিয়ে খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

রবিবার সকালে গণভবন থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে দেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর নেভাল এভিয়েশনে মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। তবে দুর্ভাগ্য হলো, এই করোনাভাইরাসের অভিঘাত পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমাদের উন্নয়নের গতিটা অনেকটা শ্লথ হয়ে গেছে। শুধু আমরা না, সারা বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। সেই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। তবে, আমরা আমাদের সম্পদ দিয়ে, নিজেদের মাটি-মানুষ দিয়েই এই দেশকে সুরক্ষিত রাখব। যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে, আমাদের খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যদিও হয়তো কিছুটা আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ার প্রভাব আমাদের ওপর পড়েছে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে যে এর থেকে যেন আমরা নিজেরা মুক্ত থাকতে পারি।’

নৌবাহিনীর বহরে নতুন করে দুটি মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দুটি এমপিএ সংযোজনের ফলে নেভাল এভিয়েশনের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই যে সমুদ্রসীমা- এর সুরক্ষা দেয়ার জন্য অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমাদের যে জলসীমা, বিশেষ করে যে সমুদ্র সম্পদ, আমাদের অর্থনীতিতে যাতে ব্যবহার করতে পারি এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।’

ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্বীপাঞ্চল থেকে উপকূল এবং সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় সব সময় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কিন্তু বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। যাতে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আমরা সব সময় ধরে রাখতে পারি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তৈরি করছি, উপযুক্ত করছি।’

নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট এবং সাবমেরিনসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রের তলদেশ থেকে শুরু করে সমুদ্র এবং সবই যেন সুরিক্ষত থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমাদের নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি।’

নৌবাহিনী লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে সমুদ্র এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যা প্রশংসার দাবি রাখে। শুধু তাই না, আমাদের বন্যার সময় উদ্ধার কাজেও…বিভিন্ন সময় আমাদের লঞ্চডুবি হয়, নানা ধরনের দুর্ঘটনা হয়, দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা ভূমিকা রাখে। সেজন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

এর আগে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হলে তাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। এসময় নেভাল এভিয়েশনের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার প্রদান করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌ সদর দপ্তরের পিএসও, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডোসহ বিশিষ্টজনরা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply