fbpx

খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে পাঠাতে মালয়েশিয়ার হাইকোর্টের বাধা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

১৯৭৫ সালে জেলহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া মালয়েশিয়ার আদালত আটকে দিয়েছে।

তাকে যেনো বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা না হয়, সেজন্য মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের বিরুদ্ধে এই অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন দেশটির হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার খায়রুজ্জামানের রিট আবেদনের শুনানিকালে মালয়েশিয়ার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এ আদেশ দেন। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানায়, হস্তান্তরের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে খায়রুজ্জামানের করা আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান।

বিচারপতি বলেন, এই আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে খায়রুজ্জামানকে হস্তান্তর করা হয়েছে, এমনটি হাইকোর্ট শুনতে চান না। মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট আগামী ২০ মে খায়রুজ্জামানের পক্ষে করা আবেদনের শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খায়রুজ্জামানকে (৬৫) অজ্ঞাত কারণে ফেরত চায় বাংলাদেশ।

এদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমানের।

দেশটির অভিবাসন পুলিশ খায়রুজ্জামানকে ১০ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

তার আইনজীবীদের দাবি, তাদের মক্কেল (খায়রুজ্জামান) একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচিআর) কার্ডধারী। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। তার বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র আছে। তিনি মালয়েশিয়ায় কোনো কাজ করছিলেন না। তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাই তাকে আটক করা বেআইনি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।

গত শুক্রবার খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন কুয়ালালামপুরের একটি আদালত। এখন দেশটির হাইকোর্ট তাকে হস্তান্তরের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেন।

১৯৯৬ সালে জেলে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি খায়রুজ্জামানকে চাকরিচ্যুতির পর গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে খায়রুজ্জামান জামিনে মুক্তি পান। এরপর চাকরি ফিরে পেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক পদে যোগ দেন।

২০০৪ সালে জেলহত্যা মামলা থেকে খালাস পান খায়রুজ্জামান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ পান। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান।

এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে মালয়েশিয়ায় তৎকালীন বাংলাদেশি হাইকমিশনার খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই আদেশ অগ্রাহ্য করে তিনি মালয়েশিয়ায় থেকে যান।

প্যারিসভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসের (এফআইডিএইচ) তথ্য অনুযায়ী, খায়রুজ্জামান জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচিআর) নিবন্ধিত শরণার্থী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply