fbpx

‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি’, প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত জীবনহানি এবং শারীরিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি গ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। এ জন্য পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারী সবার এ সংক্রান্ত আইন-বিধিবিধান জানা এবং তা মেনে চলা আবশ্যক। আমি আশা করি, সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমকে টেকসই করতে সংশ্লিষ্ট সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে এ দেশে উল্লেখযোগ্য কোনো সড়ক নেটওয়ার্ক ছিল না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে একটি আধুনিক সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তার সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন এবং প্রথম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। জাতির পিতার নির্দেশিত পথ পরিক্রমার ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সড়ক ও মহাসড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে যাচ্ছে।

১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীকে হারানোর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। ২০১১ সালে ১৩ অগাস্ট সড়ক দূর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরের মৃত্যুতে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন আরও গতি পেয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই কলেজ শিক্ষার্থী বাসের ধাক্কায় নিহত হবার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে নিরাপদ সড়ক চাই সর্বস্তরের দাবিতে রূপ নেয়।

তবে এর আগের বছরই ২০১৭ সালের ৫ জুন মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর থেকে প্রতিবছর ২২ অক্টোবর দিবসটি ঘিরে নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply