fbpx

গরুর মাংসকে ‘হালাল’ বলবে না ভারত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গরু-মহিষসহ সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত ‘রেড মিট’ থেকে হালাল শব্দটি সরিয়ে ফেলেছে ভারত সরকার। সামাজিক মাধ্যমে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও শিখ সংগঠনগুলোর প্রচারের কারণে এ শব্দটি মুছে ফেলা হয়।

কয়েকটি হিন্দু সংগঠন দাবি করছে, হালাল শব্দটি মুসলিম রফতানিকারকদের ব্যবসায় বেশি সুবিধা দিচ্ছে। এমন অভিযোগ ওঠার পরপরই হালাল শব্দটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভারতের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপিইডিএ) জানিয়েছে, হালাল মাংসের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো শর্ত নেই। অধিকাংশ আমদানিকারকদের এটিই চাহিদা।

এর আগে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এপিইডিএর ‘লাল মাংসের নির্দের্শিকায়’ বলা ছিল, ইসলামি দেশগুলোর চাহিদা অনুসারে হালার পদ্ধতিতে পশু জবাই হয়ে আসছে।

নির্দেশিকা থেকে হালাল সংশ্লিষ্ট একটি বাক্য মুছে দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা ছিল, ‘ইসলামি শরিয়া অনুসারে নিবন্ধিত ও স্বীকৃত ইসলামি সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে হালাল ব্যবস্থানুসারে এসব পশু জবাই করা হয়েছে। আমদানিকারী দেশগুলোর প্রয়োজন মেটাতে নিবন্ধিত ইসলামি সংস্থার প্রতিনিধিরা এই হালাল সনদ দিয়েছে।’

তবে পুরোনো নির্দেশিকা বদলে ‘হালাল’ শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা সব রফতানিকারকদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক বলেই মনে হচ্ছে।

ইসলাম ধর্মে হালাল শব্দের অর্থ অনুমোদিত,শরিয়াহ আইনসম্মত। শরিয়াহ আইন অনুযায়ী, জবাইয়ের সময় প্রাণীকে জীবন্ত হতে হবে এবং ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী জবাই করতে হবে।

তবে ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে এক কোপে প্রাণী জবাই করার রীতি রয়েছে, যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম।

মুসলিমদের জন্য খাবারের হালাল, হারাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমন স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply