একজন মানুষের জন্মের পরে তার জন্ম নিবন্ধন করার অর্থ হলো তার প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। আর এই আইন অনুযায়ী বয়স,ধর্ম, জাতি-গোষ্ঠি, জাতীয়তা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকলের জন্য জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যদি কোন পশুর জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে? হা টিকই শুনেছেন রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে এমন আইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে !
রাজশাহীর চরাঞ্চলে কোনো বাসিন্দা যদি গরু, মহিষ বা বাছুর পালতে চান তাহলে তাকে সেই পশুর নিবন্ধন করাতে হবে। এমনকি এসব পশু বাচ্চা জন্ম দিলে কিংবা পশু বিক্রি করলেও তথ্য হালনাগাদ করতে হয়। চরাঞ্চলে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক।
স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে গিয়ে পশুর মালিকদের নিবন্ধন ও হালনাগাদের এই কাজটি করতে হয়।
সেখানে বসবাসকারী কেউ ওই ইউনিয়নের বাইরের বাজার থেকেই গরু কিনলে সেটারও যতো দ্রুত সম্ভব নিবন্ধন করানোর নিয়ম রয়েছে।
পশুর মালিককে বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে নতুন কেনা পশুটির বিবরণ, যেমন: রঙ, বয়স, গড়ন, বলদ নাকি গাভী ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়। একই সাথে যে হাট থেকে গরু কিনেছেন সেই রিসিট দেখাতে হয়। এরপর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার রেজিস্ট্রার খাতায় একটি সিরিয়াল নাম্বারে মালিকের নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বারের পাশে তার কেনা গরুর বিবরণ লিখে রাখেন।
এমন একটি রেজিস্ট্রার খাতা পশুর মালিকের কাছেও থাকে। সেখানেও তথ্য তুলে রাখা হয়। মূলত এটাই নিবন্ধনের পদ্ধতি। এই নিবন্ধন বা হালনাগাদের জন্য বাড়তি কোনো টাকা পয়সা বা পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয় না। কোনো পশুর তথ্য যদি নিবন্ধন বা হালনাগাদ না হয় তাহলে সেটি অবৈধ বলে গণ্য হয় এবং বিজিবি চাইলে অনিবন্ধিত পশুগুলো চালান করে দিতে পারে।