fbpx

গহীন বনে শিক্ষার আলো ছড়ালেন সন্তোষ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারতের তেলাঙ্গানা রাজ্যের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম ‘নীলাম থোগু’। গভীর জঙ্গলের ভেতর আদিবাসীদের এই গ্রামের অবস্থান। এখনো করোনার ছোবল পড়েনি এখানে। তবে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ায় সঙ্কটের মুখে পড়েন বাসিন্দারা।  চাঁদা তুলে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী নিয়ে তাঁদেরই পাশে দাঁড়ান ভারতীয় তরুণ সন্তোষ ইসরাম।

আর এই সন্তোষকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি নিউজ। ওই ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়  আদিবাসীদের গ্রামে এসে সন্তোষ ভালোবেসে ফেলেন শিশুদের। তিনি জানালেন, এই গ্রামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। তাই শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।

তাই সন্তোষ  সিদ্ধান্ত নেন, শিক্ষা থেকে দূরে থাকা এই শিশুদের স্কুলে ফেরাতে হবে। এই ভাবনার কথা জানান তার দুই বন্ধুকেও। সাড়া মেলে তাদের থেকেও। তারাও অর্থ জোগার করে ছুটে আসেন এই গ্রামে। গড়ে তোলেন ’ভীম চিলড্রেন হ্যাপিনেস সেন্টার’ নামের একটি স্কুল। পড়তে-লিখতে শেখানোসহ এখানে পড়ানো হচ্ছে  তেলেগু ও ইংরেজি ভাষা। একই সঙ্গে শরীর চর্চাও হয়ে উঠছে শিক্ষার বড় অংশ।

গহীন বনে শিক্ষার আলো ছড়ালেন সন্তোষ

স্কুলে ছুটছে নীলাম থোগু গ্রামের শিশুরা। ছবি : বিবিসি নিউজের ভিডিও থেকে নেওয়া

শুধু শিশুরা নয়, সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পেরে খুশি অভিভাবকরাও।  সন্ধ্যা নামের এক মা জানান, ‘ আমরা খুব খুশি এখানে একটি স্কুল হয়েছে। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পড়া লেখা করতে পেরেও অনেক খুশি।’

সন্তোষ ও তার বন্ধুরা প্রতিবেদনে জানান, আশে-পাশের গ্রামগুলোতেও স্কুল খোলার পরিকল্পনা করছেন তারা। সন্তোষ বলেন ’ শিশুরা পড়া লেখা করছে এটাই আমাদের কাছে বড় গর্বের”

তাদের এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের মানুষ।

দেখতে পারেন বিবিসি নিউজের ভিডিওটি। 

Advertisement
Share.

Leave A Reply