করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে গনপরিবহনগুলোতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানছে না অধিকাংশ গণপরিবহন ও যাত্রীরা।
১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন রুটে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। কিছু পরিবহন অর্ধেক যাত্রী নিলেও অধিকাংশ পরিবহন ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ন। বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা। একই সময়ে বেসরকারি অফিসগুলো খোলা থাকায় সরকারি এই নির্দেশনায় বিপাকে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে না পেরে নগর জুড়েই অফিসগামীদের ভোগান্তি চরমে। আর এর প্রতিবাদ জানাতে কোথাও কোথাও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন যাত্রীরা।
চাহিদা অনুযায়ী গাড়ি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গাড়ির অপেক্ষায় ২\৩ ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। নানা বিষয়ে অভিযোগ ছিলো তাদের। মালিবাগের রনি একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী তিনি জানান, সকাল থেকেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে আছেন ২ ঘণ্টার ওপরে এখনো কোন গাড়ি পাননি। সরকারের হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগে বেসরকারি অফিসগুলো অর্ধেক জনবল দিয়ে চালানোর নির্দেশ দিত, তারপর না হয় গাড়ি বন্ধ করতো। সকল স্বাস্থবিধি মানতে হবে ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের অফিস তো লেট মানছে না।’
এদিকে নিয়ম মেনে যাত্রী তোলাতেও ছিলো বিপত্তি। জোর করে গাড়িতে উঠছেন যাত্রীরা। প্রতি সিটে যাত্রী থাকার পরেও কেন ৬০ শতাংশ ভাড়া তোলা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাব দিতেই রাজি নয় বাস কন্ট্রাক্টর। কন্ট্রাক্টর বলছেন, ‘আমরা যাত্রী নিতে না চাইলেও ট্রাফিক পুলিশ জোড় করে তুলে দিচ্ছে গাড়িতে। আবার সামনে গেলে অন্য সার্জন মামালা দেয়, গাড়িতে না নিলে যাত্রিরা মারে, গাড়ি ভাংচুর করে আমরা কি করমু।’ তবে বেশি ভাড়া আদায়ের ব্যপারে কথা বলতে রাজি নন তিনি।
এছাড়া দূর পাল্লার গাড়ি গুলোতেও সরকারী নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি, স্বাস্থবিধীর বালাই নেই গাড়ি ভর্তি লোক। চালকের সহকারী বলছেন ..তাদের কাছে কোন নির্দেশনা নাই। কাউন্টার থেকে নির্দেশনা পেলাই তারা এই নিয়ম পালন করবে না হলে নয়।
এদিকে রাজধানীর খিলক্ষেতে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। এতে পুরো বিমানবন্দর সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়। কুড়িল ফ্লাইওভার-বনানী আর অপরদিকে প্রায় উত্তরা পর্যন্ত সড়ক স্থবির হয়ে পড়ে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা সরে গেলেও সড়কে যানবাহনের তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে।