fbpx

গ্রিসে মুক্তা রপ্তানি করবে নুরুল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গ্রিসে মুক্তা রপ্তানি করবেন উদ্যোগ নিয়েছেন বরগুনার নুরুল ইসলাম। অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম প্রাথমিকভাবে মুক্তা চাষের প্রদর্শনী খামার গড়ে তুললেও সেই প্রকল্প সফল হওয়াতে এখন বাণিজ্যিকভাবে মুক্তা চাষে আগ্রহী তিনি।

তিনিই জেলার প্রথম খামারি যিনি পুকুরে ঝিনুকের মুক্তা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ তার এ খামার পরিদর্শন করে সরকারি ঋণ সহায়তা প্রদানের আশ্বাসও দিয়েছেন।

নুরুল ইসলাম জানান, তিনি সুনামগঞ্জে চাকরি করার সময় মুক্তা চাষ দেখেছেন। সেখান থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরামর্শ নিয়ে মুক্তা চাষ শুরু করেছেন। তার খামারটিতে প্রাকৃতিক জলাধার থেকে মান সম্পন্ন ঝিনুক সংগ্রহ করে ঝিনুকের মুখ ফাঁকা করে ঝিনুকের খোসার গুড়া ও ২ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের সংমিশ্রণে বিভিন্ন ধরনের ডাইচের ভেতরে স্থাপন করা হয়। ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ঝিনুকের ভিতরে মুক্তা আহরণের উপযুক্ত হয়। আর এসকল কাজে ব্যয় হয় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। বাড়ির পাশে পুকুর ও জলাধারে এরকম মুক্ত চাষ সম্ভব ব্যয়ের পরিমাণ ও কম। উৎপাদিত মুক্তা প্রতিটি গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

বরগুনা সদর উপজেলার লতাবাড়িয়া গ্রামে ব্রাইট এগ্রো নামের কৃষি খামারের মালিক অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম তার ছোটভাই টেকসই উপকূলীয় মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলামের পরামর্শে এ এগ্রো ফার্মে ২০১৯ সালে মাছের পাশাপাশি ঝিনুকের মুক্তা চাষের প্রকল্প হাতে নেন। গড়ে তোলেন একটি প্রদর্শনী খামার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply